Siliguri School Student Gangrape: আরজি করের ঘটনা (RG Kar)-য় উত্তপ্ত গোটা দেশ। অপরাধীকে ধরার দাবিতে উত্তাল সমাজ। তার মধ্যেই এবার শিলিগুড়িতে নাবালিকা গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। স্কুল ছাত্রী এক কিশোরীকে ৬-৭ জন মিলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাতের অন্ধকারে ওই কিশোরীকে শিলিগুড়ি উপকণ্ঠে ফুলবাড়ি এলাকায় ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে স্থানীয় একজনের সহায়তায় বাড়িতে যোগাযোগ করে কিশোরী। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়।
পুলিশ অভিযোগ পেয়েই অবশ্য ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতদের মধ্যে তিনজনই নাবালক। বৃহস্পতিবার তাদের জলপাইগুড়ির জুভেনাইল আদালতে তোলা হয়। মূল অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হলে বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তিনি জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নির্যাতিতাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। ইতিমধ্যে তার মেডিকেল টেস্ট হয়েছে। নাবালিকার দাদুর অভিযোগ, কিশোরী তাঁদের জানিয়েছে, ফুলবাড়িতে নিয়ে গিয়ে ছয়-সাতজন মিলে ওকে ধর্ষণ করেছে। এরপর ওকে রাস্তায় ফেলে চলে যায় দুষ্কৃতীরা।
পরিবার সূত্রে খবর, শিলিগুড়ির একটি স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই নাবালিকার সঙ্গে দুই-তিনদিন আগে সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয় মূল অভিযুক্তর। ১৫ অগাস্ট বাড়িতে মায়ের বকা খেয়ে নিজেই ওই যুবককে ফোন করে ডাকে নাবালিকা। এরপর বাইকে অনেক রাত পর্যন্ত শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় কিশোরীকে নিয়ে ঘোরে যুবক। এর মাঝে ফোনে আরও কয়েকজন বন্ধুকে ডাকে ওই যুবক। তারাও বাইক নিয়ে হাজির হয়। কাওয়াখালির একটি মাঠে নেশার আসরও বসায় তারা বলে অভিযোগ। নাবালিকার দিদির অভিযোগ, 'ধর্ষণের আগে বোনকে নেশা করানো হয়েছিল।' পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে জানিয়েছে, অভিযোগ, কাওয়াখালি অথ ফুলবাড়িতে ধর্ষণের পর নাবালিকাকে বর্ধমান রোডে নামিয়ে দেয়। পরে আবার একজন এসে তাকে বাইকে নিয়ে গিয়ে ফুলবাড়িতে রেখে আসে।
রাত তিনটে নাগাদ স্থানীয় একজন নাবালিকাকে অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখে তাঁকে ফোন দিয়ে বাড়িতে ফোন করান। খবর পেয়ে কিশোরীর বাড়িল লোক গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর নিউ জলপাইগুড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগ দায়েরের পর তদন্তে নেমে পুলিশ শুক্রবার সকালের মধ্যেই ৪ জনকে গ্রেফতার করে। সবারই শিলিগুড়িতে বাড়ি।