Shitalkhuchi Shot Tmc Leader: ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার। ঘটনাস্থল আবার সেই শীতলখুচি। বৃহস্পতিবার রাতে শীতলকুচির (Sitalkuchi) এক তৃণমূল নেতা তিনি আবার স্থানীয় লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানও। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ফের নতুন করে উত্তপ্ত করে উঠল এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরছিলেন লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের অনিমেষ রায়। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। সেখানেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন অনিমেষ। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে মাথাভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে যায় আশপাশে থাকা লোকজন। পরে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কোচবিহারের একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তবে হঠাৎ কেন তাঁকে গুলি করা হল, এর পিছনে রাজনৈতিক বা অন্য কোনও কারণ ছিল কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তৃণমুল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে বিজেপির দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শীতলখুচি থানার পুলিশ জানিয়েছে হাঁটুতে গুলি লেগেছে অনিমেষের। পুলিশ জানিয়েছে রাতে তিনি যখন নিজের স্কুটারে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন তখন দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। একাধিক লোক ছিল দলে বলে জানা গিয়েছে। পায়ে গুলি লাগে তাঁর। নার্সিংহোমে গুলিবিদ্ধ নেতাকে দেখতে যান তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। রবীন্দ্রনাথবাবু জানান, গুলি চালানোর পিছনে আছে বিজেপি। তবে বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে পাল্টা দাবি করেন তিনি।