Sevoke Tunnel Slide Dead: সেবক-রংপো রেল প্রকল্পে কাজ চলাকালীন ফের চাঙড় খসে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ১ নম্বর টানেলে চাঙড় আচমকা ধসে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এতে মারা যান শম্ভু ছেত্রী (৪১) নামে এক শ্রমিক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, সাটার খোলার সময় চাঙর ভেঙে মারা যান ওই শ্রমিক। যদিও রেলকর্তারা অন্য রকম দাবি করেছেন। প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইরকনের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর মহিন্দার সিং সংবাদমাধ্য়মকে জানিয়েছেন, টানেলের মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটেনি। সেবকে একটি ঠিকাদারি সংস্থার অফিস ঘর তৈরির সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
গত বছরের ১৮ এপ্রিল বোল্ডার পড়ে মারা গিয়েছিল এক শ্রমিক। জখম হয়েছিলেন দু’জন। এদিকে, গতকালই ৪ নম্বর টানেলের ব্রেক থ্রু সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছে ইরকন। আগামী বছর ১৫ অগাস্ট সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। এর মাঝে নির্মীয়মান টানেলের একটা অংশ ধসে পড়ল।
এর আগে ২০২৩ সালে সিকিম সীমানায় মেল্লির কাছে ভালুখোলায় ১০ নম্বর টানেলের কাজ চলাকালীন উপর থেকে আচমকা পাথরের চাঙড় ভেঙে পড়ে। চাঙড়ের নীচে বেশ কয়েকজন চাপা পড়েন। বাকিদের টেনে বের করা গেলেও একজনকে বের করতে করতেই সম্ভবত তাঁর মৃত্যু হয়।
তার আগে ২০২১ এর ১৮ জুন শিলিগুড়ি-সিকিম রেলপথ নির্মাণের সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মারা যায়, দুই শ্রমিক।জখম হয় অন্তত ৫ জন। এর আগেও ২০২০ সালে কালিম্পংয়ের কাছে ধস নামে। তাতেও মারা যান কয়েকজন শ্রমিক। এর মাঝে রেলপথ বসানো নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। যার জেরে বেশ কিছুদিন রেললাইন পাতার কাজ বন্ধ রাখতে হয়। যদিও এরপর ফের শুরু হয়েছে কাজ। কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্য়ে ফের বিপর্যয়।
এর আগে ২০০৯ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার এই রেলপথ স্থাপনের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তারপর দীর্ঘ বছর কোনও পদক্ষেপ হয়নি। অবশেষে ২০১৬ সালে এ নিয়ে নতুন করে উদ্যোগ শুরু হয়। ২০১৯ সাল থেকে কাজ শুরু হয়। সেবক থেকে সরাসরি সিকিমের রংপো পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন শুরু হয়। পাহাড়ি দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে টানেল তৈরি করে রেলপথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।