Relief Looted In Malda: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মালদার মানিকচকে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানে তিনি রাজ্যের তরফে ত্রাণও নিয়ে যান। কিন্তু তাঁর চোখের সামনেই ত্রাণ লুঠ হয়ে যায়। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
শনিবার বন্যাদুর্গতদের জন্য ট্রাকে করে ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলেন ফিরহাদ। অভিযোগ, ত্রাণ বিলি হওয়ার মাঝেই সেগুলো লুট করেন কয়েকজন। সামলানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন যাঁরা ত্রাণ বিলি করার দায়িত্বে ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যে কেউ কেউ লরিতে উঠে ত্রাণের জিনিস নিয়ে পালিয়ে যান।
বেশ কিছু দিন ধরে গঙ্গার ভাঙনে বিধ্বস্ত মানিকচকের গোপালপুরে বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিন শুরুতে টেলিফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তাও শোনান। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বার্তায় বলেন, মন্ত্রীর সংযোজন, ‘‘আমাদের সরকার আপনাদের সর্বতো ভাবে সাহায্য করবে। আমি আজ ফিরহাদকে পাঠিয়েছি। তা ছাড়া আপনাদের যে কোনও সমস্যার কথা জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে জানান।’’ বানভাসিরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, পর্যাপ্ত ত্রাণ পান, তার জন্য মমতা নির্দেশ দেন জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে।
সেখান থেকে মন্ত্রী তোপ দাগেন কেন্দ্রকে। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মানুষদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়া হয়েছে জানান। কিন্তু মন্ত্রী এলাকা ছাড়ার আগেই শুরু হয়ে যায় ত্রাণ লুঠ। ত্রাণের জন্য সবাই হাত বাড়াতে থাকেন। তার মধ্যে অনেকে ত্রাণ পাননি। তাঁরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। কেউ কেউ ত্রাণ নিতে এসে বৃষ্টিতে ভিজে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যান।
এদিন মানিকচকে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষারোপ করেন ফিরহাদ। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ নিয়ে এসেছেন। আরও সাহায্য পাবেন দুর্গতরা। কিন্তু কেন্দ্র তাদের দায়িত্ব পালন করেনি। তাঁর অভিযোগ, বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ। গঙ্গার ভাঙনে একটি দিক বিধ্বস্ত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতা এবং টানা বর্ষণে ভাঙন রোধের রাজ্য কাজ করতে পারেনি বলে জানান তিনি।