Raigunj Daring Robbery: সাহায্য চাওয়ার অছিলায় এসে গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে সোনার গয়না ও নগদ টাকা লুঠ করে পালালো দুই দুষ্কৃতী। দিনে দুপুরে এমন দুঃসাহসিক লুঠের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে রায়গঞ্জ থানার বরুয়া অঞ্চলের ছোট নারায়ণপুর গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে তদন্তে ছুটে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও দুষ্কৃতীদের এখনও চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। দুষ্কৃতীরা কোথা থেকে কীভাবে ওই গ্রামে এসেছিল তা-ও স্পষ্ট নয়। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে পুলিশ। রায়গঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলাকে সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
ঘটনার পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও আতঙ্ক কাটেনি ওই বধূর। বধূর নাম মিঠি মন্ডল। তিনি জানান, "এখনও আতঙ্ক কাটছে না। ওরা যে এভাবে সাহায্য চাওয়ার নাম করে আমাকে আচমকা ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলবে তা বুঝতেই পারিনি। ওরা যা পেল, সব লুঠপাট করে নিয়ে চলে গেল।"
দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর পরিবারের দুই সদস্য বাড়ি ফিরলে তাঁরা দেখেন বধূ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দুষ্কৃতীরা শোকেস ও আলমারি থেকে সোনার গয়না ও নগদ কয়েক হাজার টাকা নিয়ে পালিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ শার্ট-প্যান্ট পরিহিত দুই অচেনা ব্যক্তি ছোট নারায়ণপুরের মন্ডল বাড়িতে আসেন। সেই সময় বাড়িতে কোনও পুরুষ ছিলেন না। বাড়ির বধূ মিথি মণ্ডল রান্নাবান্নার কাজ করছিলেন। দুই আগন্তুক এসেই ওই মহিলার কাছে বাড়ির পুরুষ কর্তাদের খোঁজ করেন। পুরুষরা সকলে মাঠে কাজ করতে গিয়েছেন শুনেই আগন্তুকরা ওই বধূর কাছে কিছু সাহায্য প্রার্থনা করেন। মহিলা সরল মনে চাল-ডাল-আলু ও সামান্য নগদ টাকা দেবেন বলে ঘরে আনতে যাচ্ছিলেন। ঠিক তখনই আসল রূপ ধারণ করে ভিখারি বেশে আসা দুই আগন্তুক। মহিলাকে পাশের একটি ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে মুখেও কাপড় সেঁটে দেয় দুই দুষ্কৃতী। এরপর অবাধে লুঠপাট চালিয়ে মুহূর্তে উধাও হয়ে যায় এলাকা থেকে।