Minor Girl Rape And Murder: স্কুলছাত্রী নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে তোলপাড় উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার। বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত বাড়ির চত্বরে থাকা আমগাছে ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। কাছেই পড়েছিল ছাত্রীর স্কুল ব্যাগ ও পরনের প্যান্ট। ফলে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে এলাকার বাসিন্দারা। প্রত্যেকেই দোষীকে খুঁজে বের করে কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। ইটাহার থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এদিকে পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার স্কুল থেকে দিদার বাড়ি গিয়েছিল। শনিবার দিদার বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিয়েছিল দশ বছর বয়সী চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রী বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যা-রাত পর্যন্ত খুঁজে পাননি বাড়ির লোকজন। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপর রবিবার বিকেলে বাড়ির কাছে পরিত্যক্ত একটি বাড়ির চত্বরে আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার হয়।
ইটাহার থানার দুর্লভপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ওই কিশোরী ও তার পরিবার। বাবা ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন।মায়ের সঙ্গে থাকত সে। শুক্রবার তারিখ বাড়ি থেকে স্কুলে যায় ওই নাবালিকা। স্কুলের সমস্ত ক্লাস করে দিদার বাড়িতে যায়। সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলেও আর বাড়ি ফেরেনি।
পরিবারের সদস্যরা শনিবার রাতভর খোঁজাখুঁজির পর খুঁজে না পেয়ে রবিবার সকালে ইটাহার থানার দ্বারস্থ হন। নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ির অদূরে একটি পরিত্যক্ত বাড়ির আমগাছে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় গ্রামেরই এক কিশোরী। নিহত কিশোরীর কাকার দাবি, তাঁর ভাইঝিকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের দাবি পুলিশ তদন্ত করলেই সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হবে।