Beltar Toursim Postcard Location: পাহাড়ের কোলে স্যুইমিং পুল-একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা-চা বাগান, শিলিগুড়ির কাছেই

Beltar Toursim Postcard Location: একেবারে যেন বিদেশি লোকেশেন। একদিকে পাহাড় আর পাহাড়ের গায়ে ছোট্ট সাজানো রিসর্ট, সুইমিং পুল। যা পাহাড়ে বিরল। একপাশে নদী, চা বাগান, কী নেই। শিলিগুড়ি থেকে খুব কাছে, উত্তরবঙ্গের এই নতুন লোকেশনে এখন পর্যটকদের কাছে পয়লা পছন্দের তালিকায় রয়েছে।

Advertisement
পাহাড়ের কোলে স্যুইমিং পুল-একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা-চা বাগান, শিলিগুড়ির কাছেইপাহাড়, চা বাগান, সুইমিল পুল, নদী; পোস্টকার্ড লোকেশন কার্শিয়াংয়ের বেলটার
হাইলাইটস
  • পাহাড়, চা বাগান, সুইমিল পুল, নদী
  • কার্শিয়াংয়ের বেলটার দারুণ সুন্দর
  • শিলিগুড়ি থেকে কাছেই চলুন ঘুরে আসি

Beltar Toursim Postcard Location: একদিকে খাড়া পাহাড়। তার গায়ে ছোট ছোট সাজানো কিছু রঙিন কটেজ। কটেজের সামনে সুইমিং পুল। আবার তিরতিরে পাহাড়ি নদীও রয়েছে। চারপাশে শুধু নীল আর সবুজ, কখনও কুয়াশা। এমন বিদেশি কোনও গ্রামের দৃশ্য হয়তো পোস্টকার্ড ল্যান্ডস্কেপে আমরা দেখেছ। কিন্তু এ রাজ্যে হাতর কাছেই রয়েছে এমন সুন্দর জায়গা। শিলিগুড়ি থেকে খুব কাছে কার্শিয়াংয়ে। জীবনে একবার যদি এই জায়গায় না যান, তাহলে আপনার ভ্রমণপিপাসু জীবনই বৃথা।

আরও পড়ুনঃ ধস-যানজটেও নির্বিঘ্নে দার্জিলিং ঢোকার বিকল্প পথ সিকিম রুট, কীভাবে?

জায়গার নাম বেলটার। কার্শিয়াংয়ের এই ছোট্ট গ্রাম এতদিন প্রায় অন্তরালেই ছিল। এমনিতেই ছবির মতে সুন্দর লোকেশন।তবে এটি নতুন করে পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে কটেজ ও সুইমিল পুলের নির্মানে। কার্শিয়াংয়ের মতো জনবহুল নয়। শান্ত, ফাঁকা, নিরিবিলি। একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে। চারদিকে চা বাগান। পাশেই রয়েছে কুলকুল করে বয়ে চলা একটা পাহাড়ি নদী। দু'দিকে মহারানি পাহাড় আর মার্গারেট হোপ চা বাগান। সারাক্ষণ মেঘের আনাগোনা, পাখির ডাক আর মন কেমন করে দেওয়া প্রকৃতি।

বেলটার

রিভারসাইড রিসর্টের অন্যতম আকর্ষণ হল এর সুইমিং পুল। চারদিকে কটেজ আর মাঝখানে সুইমিং পুল। কনকনে ঠান্ডাতেও সুইমিং পুলে হুটোপাটি করেন মানুষ। নদীর ধারে বসে পিছনে রিসর্টের মৃদু আলো গায়ে মেখে রাতে বর্নফায়ারের মজাই আলাদা। কাঞ্চনজঙ্ঘার আলাদা সৌন্দর্য নজরে পড়বে এখানে। 

কীভাবে বুকিং?

বেলটার গ্রামের এই কটেজগুলি জিটিএ পরিচালিত। বুকিং করতে হবে জিটিএ-এর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে কিংবা ফোন করে।

রিভারসাইড

কীভাবে যাবেন?

ট্রেনে বা প্লেনে শিলিগুড়ি আসুন। এনজেপি বা বাগডোগরা থেকে গাড়ি পাবেন। সেখান থেকে কার্শিয়াং হয়ে বেলটার রিভারসাইড রিসর্টে। খরচ বাঁচাতে চাইলে কার্শিয়াংয়ে এনবিএসটিসির সরকারি বাসে নেমে, কিংবা শেয়ার ট্যাক্সিতে নেমে সেখানে থেকে ৫০০ টাকায় চলে যান বেলটার।

কী দেখবেন?

কার্শিয়াংয়ে না থেকে বেলটারে থাকতে পারেন। আর কার্শিয়াং ঘুরে আসতে পারেন। এমনি কিছু না দেখলেও ২-৩ দিন স্বপ্নের মতো পার হয়ে যাবে। তা ছাড়াও এখান থেকেই গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিতে পারেন কার্শিয়াংয়ের ঝুলন্ত ক্যাফে মার্গারেট ডেক। এছাড়াও চলে যান ডাওহিল, হনুমান টক, ইগলস ক্র্যাগ, গিদ্দাপাহাড়। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement