Jalpaiguri Tmc Councilor Surrendered: স্বামী সহ বাম নেত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় বুধবার জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় আত্মসমর্পণ করলেন অন্যতম অভিযুক্ত ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষ। দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে ফেরার থাকার পর আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়েরও। সৈকতের আগাম জামিনের আবেদন আদালতে বিচারাধীন।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল নিজের বাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারপার্সন অপর্ণা ভট্টাচার্য ও তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয়। সুইসাইড নোট উদ্ধার হওয়ার পর সৈকত, সন্দীপ সহ চারজনের নাম উঠে আসে। যেখানে দম্পতি উল্লেখ করেন, তাঁদের নানাভাবে মানসিক চাপ দিতেন এই অভিযুক্তরা। যার কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। সুইসাইড নোটের ওপর ভিত্তি করেই সুবোধবাবুর দিদি তথা বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সন্দীপের আত্মসমর্পণের পর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
২০০০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বামফ্রন্টের পৌরবোর্ডে জলপাইগুড়ি পৌরসভার উপ পৌরপ্রধান ছিলেন অপর্না ভট্টাচার্য। ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে নির্বাচিত হয়ে ছিলেন তিনি, তবে পরে তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন সকালে অসুস্থ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন উপ পৌরপ্রধান ও তাঁর স্বামী। তদন্তে নেমে আরও কিছু তথ্য সামনে আসে।