শিলিগুড়িতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই নির্বাচিত ১৬ সদস্যের

দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধেই অনাস্থা আনলেন তৃণমূলের ১৬ জন জনপ্রতিনিধি। ফাঁসিদেওয়ার চটেরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে দলের ভিতরেই বিদ্রোহে চাঞ্চল্য। বিডিওকে চিঠি, জেলা নেতৃত্ব অস্বস্তিতে—নতুন করে মাথাব্যথা তৃণমূলের মহলে।

Advertisement
শিলিগুড়িতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই নির্বাচিত ১৬ সদস্যেরশিলিগুড়িতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দলেরই নির্বাচিত ১৬ সদস্যের

খড়িবাড়ির বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছায়া এবার ফাঁসিদেওয়ার চটেরহাটে। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত চটেরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা নিয়ে এলেন দলেরই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। তাও আবার একজন বা দুজন নন, ১৮ সদস্যের গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬ জনই দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থার চিঠিতে সই করেছেন। যা নিয়ে অস্বস্তিতে দল। এ নিয়ে দলের শীর্ষ নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কেউ বলছেন বিষয়টি জানেনই না।

২০২২-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৮ আসনের  চটেরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধীশূন্য বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। কিন্তু তিন বছরের মাথায় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা পেশ করা হল। তাও আবার উপপ্রধান সহ মোট ১৬ জন সদস্য অনাস্থা আনেন। বুধবার তাঁরা ফাঁসিদেওয়া বিডিওর কাছে অনাস্থার চিঠি জমা করেছেন। অনাস্থায় সই করা সদস্যদের বক্তব্য, প্রধান মর্জিমাফিক কাজকর্ম করছেন। তিনি পঞ্চায়েত অফিসে বসেন না। দলের সদস্যদের সঙ্গে কোনও কাজ নিয়ে আলোচনা করেন না। প্রধান নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। ফলে সরকারি কাজকর্মে মন দেন না।

যদিও অভিযুক্ত প্রধান রাজেশ মণ্ডল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। অফিসেও যাই। তারপরও কেন কারা অনাস্থা এনেছেন তিনি জানেন না।

এর আগে বিন্নাবাড়িতে বিজেপি ভাঙিয়ে দুই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যকে দলে আনার পর প্রধান ইস্যুতে দলের গোষ্ঠীকোন্দল চরম আকার নিয়েছিল। বিজেপির প্রধান আলাকসু লাকড়াকে প্রধান রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলে এনেছিল তৃণমূলের শাসকগোষ্ঠী। দলেরই অপর গোষ্ঠী আবার বিজেপির অপর জয়ী সদস্য লক্ষ্মী হেমব্রমকে একই প্রতিশ্রুতি দিয়ে দলে নিয়ে আসে। শেষপর্যন্ত বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর অনাস্থায় প্রধান পদ যায় আলাকসুর। নতুন প্রধান হন লক্ষ্মী। যা নিয়ে আগেই অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার চটেরহাটের ঘটনা তৃণমূলের আরও অস্বস্তি বাড়াল।

 

POST A COMMENT
Advertisement