North Dinajpur Durgapuja Threat: পুজো আসন্ন, মাঝে আর মাত্র কয়েকটা দিন। কিন্তু উত্তর দিনাজপুর জেলায় এবার আদৌ পুজোর বাজনা বাজবে তো? যদিও বা বাজে, তাতে জৌলুস বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।প্যান্ডেল, লাইট, মাইক, সবই যেন অনিশ্চয়তার মুখে। ক্লাবগুলোর কাছে দীর্ঘদিনের বকেয়া ভাড়ার টাকা না মেটায় এবার কাজেই নামতে চাইছেন না জেলার ডেকোরেটাররা।
হতাশা গ্রাস করেছে ডেকরেটার্স ব্যবসায়ীদের মধ্যে। ডেকোরেশন ব্যবসায়ী মনোজ সাহা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বছরের পর বছর ধরে প্রতিশ্রুতি শুনে যাচ্ছি, কিন্তু ক্লাবগুলোর কেউ কথামতো টাকা দেয় না। সরকারি অনুষ্ঠান থেকেও পাওনা আছে। আর্থিক দিক দিয়ে আমরা একেবারে শেষ সীমায় এসে পৌঁছেছি।”
জেলা ডেকোরেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি পার্থ সরকারও জানান, “দিনরাত খেটে আমরা পুজোর মঞ্চ সাজাই, আলোর বাহার করি, অথচ আমাদের পাওনাটুকু মেলে না। এবার তাই স্পষ্ট সিদ্ধান্ত—যতক্ষণ না সমস্ত বকেয়া মিটছে, ততক্ষণ কাজে হাতই দেব না।”
পুজোর আনন্দে এই খবরে এলাকাবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশই মার খাবে। তাঁদের দাবি, ক্লাবগুলোর দিক থেকে দায়িত্ববান মনোভাব এবং প্রশাসনের তরফে নজরদারি ও হস্তক্ষেপ জরুরি। যাতে পুজোর মেলা-উৎসব যথাযথ ভাবেই হয়, কারও আর্থিক ভরাডুবি না ঘটে।
তবু আশা রয়ে গিয়েছে শেষ মুহূর্তে কোনও সমাধান বেরিয়ে আসবে। আর সেই আশাতেই আপাতত দিন গুনছে জেলার পুজোপ্রেমী মানুষ আর ডেকোরেশন ব্যবসায়ীরা। না হলে পুজোর মধ্য়ে নেমে আসবে অন্ধকার। যা কখনওই চাইবেন না এলাকাবাসী।