Shehzad Poonawala: জলপাইগুড়ির নাগরাকাটাতে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর আক্রমণের ঘটনায় বিজেপি ফের তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুণাওয়ালা তৃণমূলকে তালিবানি মানসিকতার বলে কটাক্ষ করেন। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের মারার ঘটনার প্রসঙ্গে রাজ্যের মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, “কেবলমাত্র ফটোশুট, ভিডিয়ো শুট করতেই গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।”
শেহজাদ বলেন, “আমাদের আধিবাসী সম্প্রদায়ের সাংসদ খগেন মুর্মুকে ঘৃণ্যভাবে মারা হয়েছে। ওনার ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। ওনার পরিস্থিতি এতটাই আশঙ্কাজনক, চোখটা নষ্ট হতে বসেছিল। কোনওভাবে রক্ষা করা গিয়েছে। ICU তে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর এক্স রে রিপোর্টে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে, মুখে চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। আরেকজন আদিবাসী সম্প্রদায়ের বিধায়ক মনোজ ওঁরাওকে হেনস্থা করা হয়েছে।”
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিঁধেই শেহজাদ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে লোক দেখাতে ফটোশুট করতে গিয়েছিলেন। এক মিনিটের কম সময় থাকেন। আর বাইরে বেরিয়ে এসেই ভিডিয়ো শুট করে বলেন, কেবল কানের নীচে একটু চোট লেগেছে। চোখের নীচের কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্বেই হাড় ভেঙেছে, চোখটা নষ্ট হয়ে যেতে পারত।”
পুরো হামলার নেপথ্যে তৃণমূল জড়িত বলে আরও একবার অভিযোগ করেন তিনি। শেহজাদ বলেন, “গোটাটাই তৃণমূলের পরিকল্পিত হামলা। উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে যাঁরা দাঁড়াতে গিয়েছিলেন, তাঁদের ওপর হামলা হল। তৃণমূল নেতাকর্মীরা তালিবানি সংস্কৃতি পালন করছে।"