"শিলিগুড়িতে হবে নতুন মহাকাল মন্দির। শুধু তাই নয়, দার্জিলিঙের বিখ্যাত মহাকাল মন্দিরের উচ্চতায় উঠতে যাতে বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের অসুবিধা না হয়, তার জন্য় চালু করা হবে গ্রিন কার।" বৃহস্পতিবার মহাকাল মন্দির চত্বরে দাঁড়িয়ে এই নির্দেশ ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহাকাল দর্শন করে পাশে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও জিটিএ চিফ অনিত থাপাকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘোষণা করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মহাকাল মন্দির খুবই জাগ্রত ও জনপ্রিয়। পর্যটক থেকে স্থানীয় মানুষ রোজ এখানে পুজো দিতে আসেন। মন্দিরটি অনেকটা উঁচু। সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয়। তাই এখানে যাঁরা উঠতে পারবেন না, তাঁদের জন্য গ্রিন কার তৈরি করে দেবদর্শনের বন্দোবস্ত করা হবে।" তিনি সেখানে দাঁড়িয়েই বিজিপিএম সভাপতি তথা জিটিএ চিফ অনিতকে নির্দেশ দেন দ্রুত বন্দোবস্ত করে বিষয়টি চালুর ব্যপারে উদ্যোগ নিতে।
এছাড়া তিনি সেখানে দাঁড়িয়েই জানান, শিলিগুড়িতে আরেকটি মহাকাল মন্দির করা হবে। তিনি বলেন, "এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসককে জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। সেটা হয়ে গেলেই তা তৈরি করা হবে। তবে তা তৈরিতে কিছুটা সময় লাগবে।"
বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিং সফরের সময় মহাকাল মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাহাড়ের এই ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় মন্দিরে ভক্তিভরে পুজো দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্দির চত্বরে উৎসবের আবহ তৈরি হয়। প্রত্যেকবারের মতো এবারও দার্জিলিং সফরে গিয়ে মহাকাল মন্দিরে যান মুখ্যমন্ত্রী।সেখানে পুরোহিতদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আচার পালন করেন তিনি। মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রার্থনা করেন রাজ্যবাসীর শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্থতার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুখ্যমন্ত্রী যখনই দার্জিলিংয়ে আসেন, তখনই তিনি মহাকাল মন্দিরে আসেন পুজো দিতে। এই ধারাবাহিকতা এবারও বজায় রাখলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই আধ্যাত্মিকতা ও ধর্মীয় আচরণে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
এদিন মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কড়া। দার্জিলিং পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর সময় বহু পর্যটক ও সাধারণ মানুষ মন্দির চত্বরে ভিড় করেন। অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ছবি তোলার সুযোগ পান।