'ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক', শ্যামপুর থেকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর'হিন্দু আক্রান্ত হলে , দুর্গাঠাকুর ভাঙলে বলা যাবে না। বললেই আপনি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবেন। ওপারে ইউনূস আর এপাড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক।' বুধবার হাওড়ার শ্যামপুরে এক প্রতিবাদ সভায় এই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেন, 'সুবোধ সরকার, বিকাশ ভট্টাচার্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গোমাতা ভক্ষণ করলে সেকুল্যার হয়ে যাবেন। এটা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আসল অবস্থা।'
পুজোর সময় বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেছিলেন, শ্যামপুর থানা থেকে ফেরার সময় একদল দুষ্কৃতী শ্যামপুরে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ভাঙচুর করে। শ্য়ামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পুজো প্যান্ডেলে আগুনও ধরানো হয়। আরও একাধিক পুজো প্যান্ডেলে ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকী কয়েকজন বিসর্জনের ঘাটে পাথরও ছুঁড়েছে। বুধবার তারই প্রতিবাদে সভা করে বিজেপি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শাসকদল তৃণমূল ও পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন,'বিজয়দশমীর দিন চারিদিক থেকে সন্ত্রাসবাদী, গুন্ডাদের জড়ো করে একাধিক দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। হিন্দু সমাজকে আতঙ্কে রাখা হয়েছে পাঁচদিন। ১৬৩ ধারা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ করে আপনাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। শ্যামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গুন্ডাদের জড়ো করে তাণ্ডব করা হয়েছে।'
এরপরেই বিরোধী দলনেতা বলেন, 'আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাঁচদিন ধরে ঢোকার চেষ্টা করেছি। আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ১৯ তারিখের পরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে ছিলাম বলে আসতে পারিনি। ২০ তারিখ এসে যে সমস্ত মণ্ডপ ভেঙেছে, যে সমস্ত হিন্দু দোকানদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করেছি। আমরা কোন রাজ্যে আছি, কেন আমাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হবে। পুলিশ আর তোলামূল সব খায়। বালি, কয়লা, এখন স্কুলের ট্যাবও খাচ্ছে। সিসিটিভিও খেয়ে হজম করছে।'