চিৎকার করে শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনে বাড়ির মালিক ভাড়াটের ঘরে খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন। ঢুকে যা দেখলেন তাঁর হাড় হিম হয়ে গেল। বাড়ির মালিক দেখেন, রান্নাঘরের ভিতর রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই ভাড়াটে বধূর প্রায় অর্ধনগ্ন লাশ। পাশে বসে কাঁদছে দেড় বছরের সন্তান। কোচবিহারের চকচকা বাজারের এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মৃতার স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত মহিলার নাম অর্পিতা আর্য। বয়স বছর ২২। তিন বছর আগে কালজানি কুড়ারপাড় এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র আর্যের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। রবীন্দ্র রাইসমিলে কাজ করেন। ওই দম্পতির দেড় বছর আগে একটি পুত্র সন্তান হয়। জানা গিয়েছে শ্বশুরবাড়িতে থাকার সময় অশান্তি হয়। তারপর থেকেই স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ওই ব্যক্তি ভাড়াবাড়িতে উঠেছিলেন। গত নয় মাস ধরে তাঁরা এই ভাড়াবাড়িতে এসে ওঠেন।
সূত্রের খবর, দিনহাটায় একটি বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। এরপর রবিবার অর্পিতা নিজের শাশুড়ির সঙ্গে বাড়ি ফেরেন। শাশুড়ি পুত্রবধূকে নামিয়ে নিজেদের বাড়ি চলে যান। রাতে রবীন্দ্র দিনহাটায় ছিলেন বলে শোনা গিয়েছে। এদিকে ভোররাতে ঘরের ভিতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসছিল অনেকক্ষণ ধরে। অন্যদিন এমন হলে কিছুক্ষণ পরে চুপ করে যায়। কিন্তু এদিন কিছুতেই কান্নার আওয়াজ বন্ধ হচ্ছিল না। দীর্ঘসময় এমন চলতে থাকায় বাড়ির মালিক উঠে দেখতে গিয়ে এই ঘটনা আবিষ্কার করেন।
তিনি দেখেন রান্নাঘরের ভিতর অর্পিতার প্রায় অর্ধনগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী রবীন্দ্র আর্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। কেন ওই ব্যক্তি রাতে বাড়ি ফেরেননি? ঘটনার পিছনে কি কোনও অন্য কারণ রয়েছে? সেসব খতিয়ে দেখছে পুলিশ।