পটনা বিজয় সম্পূর্ণ হতেই এবার গেরুয়া শিবিরের নজর বঙ্গে ৷ কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে বিজেপি। সর্বশক্তি নিয়ে বাংলা জিততে মরিয়া নাড্ডা বাহিনী ৷ ইতিমধ্যেই বাংলার ২৯৪ মধ্যে ২০০ আসনের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ ৷ আর তাই জন্য বাংলাকে ৫ জোনে ভাগ করে কেন্দ্রীয় স্তরের ৫ নেতাকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব।
শাহের নির্দেশেই সুনীল দেওধর, দুষ্মন্ত গৌতম, বিনোদ তাওড়ে, হরিশ দ্বিবেদী এবং বিনোদ সোনকরকে দেওয়া হয়েছে বাংলায় ভোটের রণনীতি তৈরি করার দায়িত্ব।
যার মধ্যে রাঢ়বঙ্গের দায়িত্ব পেয়েছেন সাংসদ বিনোদ সোনকর। এই জোনে রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম। গতবার এই এলাকার আদিবাসী অঞ্চলে ভাল ফল করেছিল বিজেপি।
অবাঙালি এই নেতা সদ্য ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে ভোট সামলেছেন বিনোদ। যোগী আদিত্যনাথের সরকার গঠনে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। বিনোদের সেই অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পর পর দু'বার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী বিনোদের জন্ম থেকে রাজনীতি সবই উত্তরপ্রদেশে। ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দু’বারই জিতেছেন কৌসম্বি লোকসভা কেন্দ্র থেকে। দীর্ঘসময় উত্তরপ্রদেশ বিজেপি-র সহ-সভাপতি থেকেছেন। পরে বিজেপি-র তফসিলি মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি হন।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্য নিয়ে যোগী সরকার গঠন এবং গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনে সে রাজ্যে ভাল ফলের পিছনে বিনোদের পরিশ্রম ছিল বলে দলের শীর্ষনেতৃত্ব মনে করেন। নিজের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাজ্যের নির্বাচনী প্রচারেও বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন।
রাঢ়বঙ্গের দায়িত্ব নিয়েই নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন সোনকর। দুর্গাপুরে, সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করে ফেলেছেন তিনি। অমিত শাহের বেঁধে দেওয়া টার্গেট পূরণে আত্মবিশ্বাসী সোনকর। তিনি বলেছেন, ‘২০০ সিট পাবো। বৈঠক করে বুঝেছি। অমিত শাহের টার্গেট সফল হবে।’
বিধানসভা ভোটে জনভিত্তি তৈরি করে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে একটি হোটেলে সাতটি সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেন বিনোদ সোনকার। হাজির ছিলেন বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, কাটোয়া, বর্ধমান, আসানসোল, পুরুলিয়া ও বীরভূমের সাংগঠনিক জেলার নেতারা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।