দুঃস্থ খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ালো শিলিগুড়ির ক্রিকেট লাভার্স

করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে দীর্ঘ  দুই মরশুম নষ্ট খেলোয়াড়দের। যাঁরা উঠতি খেলোয়াড় তাঁদের পক্ষে বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। খেলা না থাকায় ক্লাবগুলি থেকে তেমন সাহায্য মিলছে না।

কোনও ক্লাব বা সংগঠন কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু সাহায্য মিললেও তা দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে খুব একটা লাভজনক হয়নি। ফলে সমস্য়াও দূর হয়নি ওই সব দুঃস্থ খেলোয়াড়দের।

এই পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের সাহায্যে এগিয়ে এল খেলোয়াড়রাই। রবিবার শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সুইমিং পুলের সামনে দুঃস্থ খেলোয়াড়দের হাতে এক সপ্তাহের রসদ তুলে দেওয়া হল।

শিলিগুড়ি ক্রিকেট লাভার্স ওয়েলফেয়ার অর্গাইজেশন শুধুমাত্র ক্রিকেটের স্বার্থে তৈরি হলেও অতীতের মতো এবারও অন্য খেলার দুঃস্থদের হাতেও খাবার তুলে দিতে কার্পণ্য করেননি তাঁরা।

শিলিগুড়ি ক্রিকেট লাভার্স ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন এর পক্ষ থেকে রবিবার প্রায় ৩৫ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ছাড়াও ক্রিকেট, ফুটবল ও অ্যাথলেটিকস খেলোয়াড়দের পরিবারের জন্য প্রায় এক সপ্তাহের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক ঘোষ জানান, এদিন খেলোয়াড়দের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সম্পাদক কুন্তল গোস্বামী সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

আরও কিছু খেলোয়াড় সমস্যায় পড়লে তাদের পাশেও দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্রিকেট লাভার্সরা। গত কয়েক বছর থেকেই ক্রিকেট ও খেলাধূলার স্বার্থে তাঁরা লাগাতার লড়াই করে আসছেন।  

পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে ক্রিকেটের জন্য আলাদা মাঠের দাবিতে সই সংগ্রহ করে তাঁরা বরাবরই সক্রিয় রয়েছেন শিলিগুড়ির ক্রীড়া আঙিনায়। এর আগেও তাঁরা করোনার প্রথম ওয়েভেও দুঃস্থ খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছিল। 

ক্রিকেট লাভার্সদের সভাপতি মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, ছেলেরা ভাল কাজ করছে। সম্পূর্ণ খেলাধূলার কল্যাণের যে স্বার্থ নিয়ে সংগঠন তৈরি হয়েছিল, তাকে সঠিকভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ছেলেরা। সংগঠনে প্রাক্তন খেলোয়াড়রা যেমন রয়েছে, তেমনই বর্তমান খেলোয়াড়রাও রয়েছে। সেই সঙ্গে আম্পায়ার, ক্রিকেট কোচ সবাইকে নিয়েই কাজ করে চলেছে ক্রিকেট লাভার্সরা।