scorecardresearch
 
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গ

Ghatal Flood:ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি, ৮ দিন পর মিলল পানীয় জল

Ghatal Flood
  • 1/9

গত সপ্তাহের বৃষ্টির জেরে এখনও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ পরিস্থিতি। প্লাবিত বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকে দামোদর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম। আরও অবনতি হয়েছে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতায় বন্যা পরিস্থিতির । খানাকুলে উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনা। এয়ারলিফট করে বাঁচানো হচ্ছে জলে আটকে পড়া গ্রামবাসীদের।
 

Ghatal Flood
  • 2/9

শিলাবতীর জলে প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। গ্রামাঞ্চলে বহু পরিবার বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছে। জল থইথই ঘাটাল পুর-এলাকাও। বন্যা কবলিত ঘাটালে   আটকে পড়া বহু মানুষ গত আট দিন ধরে বন্যার জল খেয়েই বেঁচে আছেন। এমন অনেক গ্রাম আছে যা চারদিকে মাইলের পর মাইল জলে থইথই করছে। এমনই একটি গ্রামে  NDRF দলের সঙ্গে হাজির হয়েছিল আজতকের টিম। 
 

Ghatal Flood
  • 3/9

৮ দিন অসহায় ভাবে কাটানো  এখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল,  একদিন তারা বন্যার জল খেয়ে বেঁচে আছেন। খাওয়ার কিছু নেই।  এনডিআরএফ টিম তাদের শুদ্ধ পানীয় জল দেয়। শিশু থেকে বয়স্ক, সবাই পানির জলের  জন্য তৃষ্ণার্ত ছিল।

Advertisement
Ghatal Flood
  • 4/9

এখানকার অবস্থা এতটাই খারাপ যে মানুষকে জীবিত থাকার জন্য খাবার ও ওষুধ পেতে ভেলায় করে মাইলের পর মাইল চলতে হয়েছে।

Ghatal Flood
  • 5/9

হিসেব অনুযায়ী, শুধুমাত্র ঘাটাল ব্লকে ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ৫০ টিরও বেশি গ্রাম এখনও জলের তলায়। ১০০  টিরও বেশি গ্রাম আংশিক ভাবে জলের নীচে। বন্যায় প্রায় দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। NDRF এবং রাজ্য প্রশাসনের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
 

Ghatal Flood
  • 6/9


ঘাটাল এলাকায়  প্রতি বছর বর্ষাকালে একই অবস্থা হয়। কারণ পুরো ঘাটাল ব্লকটি একটি গর্তের মতো এবং শিলাবতী নদীর কাছাকাছি। এমন অবস্থায় বন্যার সময় আশেপাশের সমস্ত জল ঘাটালে চলে  এবং বন্যার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পায়।

Ghatal Flood
  • 7/9

বামফ্রন্টের সময় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছিল। প্রকল্পের মধ্যে ছিল শিলাবতী নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণ, নদীতে ড্রেজিং এবং পাম্পিং স্টেশন। এই পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের অর্থ দিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই পরিকল্পনাটি প্রস্তুত হয়নি। 

Advertisement
Ghatal Flood
  • 8/9

এখন টিএমসি সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয়নি, তাই প্রকল্পটি শেষ হয়নি।  টিএমসি সাংসদ দেব সম্প্রতি বলেছেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী না হলে  ঘাটালকে বন্যার হাত থেকে উদ্ধার করা যাবে না।
 

Ghatal Flood
  • 9/9

তবে আস্তে আস্তে ঘাটালে জল কমতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে  এসব এলাকা থেকে জল বের হতে আরও এক সপ্তাহ লাগবে। কিন্তু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান না হওয়া পর্যন্ত এখানকার মানুষকে প্রতিবছর এই ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হতে হবে।
 

Advertisement