কম মিষ্টির এই লাড্ডুর নাম অর্গানিক ডায়াবেটিক লাড্ডু। চেটেপুটে এই লাড্ডু খেতে পারবেন ডায়াবেটিক রোগীরাও। গণেশ পুজোর আগে এর চাহিদা তুঙ্গে। এমনিতে মিষ্টি নিয়ে বাঙালির ভালবাসা সবার জানা।
সুগার রোগীদের আর লুকিয়ে মিষ্টি খেতে হবে না। তাদের কথা ভেবে গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে এক অভিনব লাড্ডু তৈরি করেছে সালকিয়া চৌরাস্তার কাছে এক মিষ্টির দোকান।
তিনি বলেন, মেডিকেটেড এই লাড্ডুর চাহিদা বেশ ভাল। দাম ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে। এক ক্রেতা জানান তিনি ডায়াবেটিক রোগী।
গণেশ পুজো (Ganesh Chaturthi)-র আগে এই লাড্ডু হাতে পেয়ে খুশি। কারণ এই লাড্ডুর প্রসাদ তিনি ও বাড়ির লোকেরা খেতে পারবেন।
সিদ্ধিদাতা গণেশের (Siddhidata Ganesh) জন্মোৎসব গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi) নামে পরিচিত। ভাদ্রপদ মাসের চতুর্থী তিথির শুক্লপক্ষে সাধারণত পালিত হয় এই উৎসব। বিশ্বাস করা হয় যে, নিষ্ঠা করে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে সিদ্ধিদাতার পুজো করলে, সুখ -শান্তি বজায় থাকে, সমৃদ্ধি হয় এবং সমস্ত বাধা দূর হয়। গণপতিকে (Ganpati) ভালোবেসে ভক্তরা একাধিক ভোগ (Bhog) উৎসর্গ করেন। তবে তার মধ্যে গণেশ চতুর্থীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিছু প্রচলিত ভোগ। এগুলো গণেশের অত্যন্ত প্রিয়। নিষ্ঠা করে এই ভোগ উৎসর্গ করলে সিদ্ধিদাতা সন্তুষ্ট হন। গণেশের আরেক নাম মোদকপ্রিয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি। একবার স্বর্গে, দেবী পার্বতী, একটি মোদক উপহার স্বরূপ পান। কিন্তু কে খাবে সেই একটি মোদক এই নিয়ে কার্তিক ও গণেশের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। শেষমেশ দেবী বলেন, যে তিনবার পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে আগে আসতে পারবে, সে মোদকটি পাবে। কার্তিক গোটা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করতে শুরু করেন। অন্যদিকে গণেশ, পার্বতীকে প্রদক্ষিণ করে বলেন "তুমিই আমার পৃথিবী"। সন্তুষ্ট হয়ে দেবী তাঁর হাতেই মোদকটি দেন।