Mobile Games: মোবাইল ফোনে আসক্তি ছিল। মা বকাবিক করায় অভিমান হয়েছিল। অভিযোগ, সেই দুঃখে আত্মঘাতী হয়েছে সেই ছাত্রী। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার দগ্ধ মৃতদেহ। সুইসাইড নোটে মায়ের প্রতি অভিমান ব্যক্ত করেছে ছাত্রীর।
হুগলির পান্ডুয়ার শ্রীপালা গ্রামের বাসিন্দা রুবি খাতুন কলকাতার একবালপুরে মাসির বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। ক্লাস টেনে পড়ত সে। স্কুল বন্ধ থাকায় দেড় বছর ধরে পান্ডুয়ার গ্রামের বাড়িতেই ছিল। সকালে তার কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডাকেন তার মা সাবিনা খাতুন। প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে রুবির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ দেখতে পায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
খবর দেওয়া হয় পান্ডুয়া থানার পুলিশকে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায় ময়না-তদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোররাতে যখন সবাই ঘুমিয়েছিলেন, তখন গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মেয়ে মোবাইলে আসক্ত ছিল বলে জানান তাঁর মা সাবিনা খাতুন। তিনি বলেন, মেয়ে কলকাতার এক স্কুলে পড়ত। অনলাইনে ক্লাস করত। সব সময় মোবাইল ঘাঁটত। গেম খেলত, বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করত। বারণ করলে শুনত না। বকাবকি করতাম। তাই আমার সঙ্গে কথা বন্ধ করে দেয়।
বৃহস্পতিবার আধার কার্ডের জন্য গিয়েছিল। দুপুরে বাড়ি ফেরে। রাত খেয়ে শুয়ে পড়ি আমি। সকাল উঠি। মেয়ে দেরি করে ঘুম থেকে উঠত। সকাল অনেক হয়ে গেলেও না ওঠায় ডাকাডাকি করি। দরজায় খিল দিয়ে শুয়েছিল। জানলা দিয়ে দেখি নীচে পরে আছে। তারপর দরজা ভাঙা হয়।