scorecardresearch
 
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গ

PHOTOS:চারদিকে থইথই বন্যার জল, তার মাঝেই নববধূ নৌকায় চললেন শ্বশুরবাড়ি

Howrah,
  • 1/6

চারিদিকে শুধু জল আর জল। সেই জল চিরে চলেছে নৌকা। আর তাতে চেপে গাঁটছড়া বেঁধে লাল বেনারসি পরে বরের সাথে শ্বশুরবাড়ি চলেছেন কনে। এই  দৃশ্য কিছুটা হলেও মুখে হাসি ফোটালো আমতা দুই ব্লকের বন্যা দুর্গত মানুষের মুখে।

Howrah,
  • 2/6

দেখেই বোঝা যাচ্ছে নতুন কনে ফিরছেন শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু আসার তো কথা ছিল সাজানো চারচাকা গাড়িতে। উপায় নেই যে। কারন আমতা দু নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত। মাঠ-ঘাট পথ সবই জলে ভরা। অগত্যা তাই নৌকাই ভরসা বরযাত্রীদের। 

Howrah,
  • 3/6

এমনই নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরের সেহাগড়ি এলাকা থেকে সেহাগড়ি পাত্র পাড়ায় বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে নৌকায় চেপে রওনা দিলেন নতুন কনে সায়নী পাত্র। পাশে ধুতি পাঞ্জাবি পরে বর চিরঞ্জিত পাত্র। 
 

Advertisement
Howrah,
  • 4/6

সায়নীর বাপের বাড়ি আমতা দু নম্বর ব্লকের ভান্ডারগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর। কয়েক মাস আগে সায়নী ও চিরঞ্জীতের বিয়ে ঠিক হয়। চিরঞ্জিত পেশায় ব্যবসায়ী। এলাকাতেই তার ব্যবসা। বিয়ের জন্য সবকিছু তোড়জোড় প্রায় শেষের মুখে ছিল। হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল।সারা হয়েছে আত্মীয়-স্বজনকে নেমন্তন্নের কাজ।সানাইয়ের আওয়াজ আর আলোর রোশনাই ভরে থাকার কথা ছিল পাত্র পাড়ায়। কিন্তু হঠাৎ বন্যা সব আনন্দে কার্যত জল ঢালা হয়ে যায়। 

Howrah,
  • 5/6

চিরঞ্জীতের দাদা স্বরূপ পাত্র জানান  ছোট করে দেয়া হয় সমস্ত আয়োজন। কোন রকমে শুধুমাত্র বিয়ে টুকু হয়েছে এবং যে অনুষ্ঠানটা না করলেই নয় সেটুকুই করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় বর বিয়ে করতে গিয়েছিলেন নৌকায় চেপে। বাড়ি থেকে তারা সাদামাটা পোশাকে নৌকায় চেপে সেহাগড়ি আসেন। পরে সেখান থেকে গাড়িতে করে যান আমতার ১০ নম্বর পোলের কাছে। সেখানে এক বন্ধুর বাড়িতে বর পোশাকে সজ্জিত হয়ে চিরঞ্জিত বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সঙ্গে ছিলেন মাত্র জনা পঞ্চাশেক কনে ও বরযাত্রী।
 

Howrah,
  • 6/6

এদিন  দুপুরে ফেরার সময়ও তারা গাড়ি করে সেহাগড়ি আসেন। তারপর সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন নৌকায় চেপে। নৌকায় ওঠার আগে লাজুক হেসে সায়নী জানান এ এক দারুণ অভিজ্ঞতা।অ্যাডভেঞ্চারও বটে।একটু ভয় লাগলেও অন্যরকম অনুভূতি।যা সারাজীবন মনে থাকবে।নব বিবাহিত বঁধুর কথাতে একমত স্বামী চিরঞ্জিতও।তিনি বলেন প্রতিবছর বন্যায় একই অবস্থা হয়।এব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনের ভাবা উচিত।  নতুন দম্পতিকে অনেকেই এভাবে যেতে দেখে খুশী হয়ে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। হাসিমুখে পাল্টা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সায়নি ও চিরঞ্জিত। জলবন্দি মানুষের কষ্টের মধ্যেও একটু ভালোলাগা।

Advertisement