কথায় আছে ভাতে মাছে বাঙালি। আর যদি ইলিশ হয় তো কথায় নেই। গত দু'বছর ধরে ইলিশ এর তেমন দেখা নেই। নিম্নচাপের জন্য সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে একের পর এক ট্রলারকে।
বাজারে এখন যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও আবার ছোট সাইজ। সেগুলি আবার লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি হচ্ছে। তায় দু'বছর ধরে বাঙালির পাতে ঠিক মতো ইলিশের দেখা নেই।
সেই সময় খুশির খবর মেচেদা পাইকারি মাছ আড়তে এল বাংলাদেশের পদ্মার কয়েক টন ইলিশ। ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম আটশো টাকা, এক কেজি ওজনের দাম এক হাজার টাকা। আর দেড় কেজি ওজনের ইলিশের দাম দেড় হাজার টাকা।
মেচেদা ফিশ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান বলেন, ইলিশের দেখা নেই। বার বার নিম্নচাপের জন্য খালি হাতে ফিরে আসতে হয়েছে সমুদ্র থেকে। সেখানে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার হতাশ হয়ে ফিরেছে।
তাই বাঙালির পাতে দু'বছর ধরে তেমন ইলিশ মাছ ধরা পড়েনি। তাই বাংলাদেশ থেকে কয়েক টন ইলিশ মাছ মেচেদা পাইকারি মাছের আড়তে আসতেই হইচই পড়ে গেল।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ইলিশ না হলে আর কোনও ইলিশ নেই। দেশের বড় সাইজের ইলিশ দেখতে পাইনি। মার্কেট বাঁচানোর জন্য এগুলো দরকার ছিল। আর মাছে-ভাতে পাতে ইলিশ তুলে দেওয়ার জন্যও তা কাজ দেবে।
দিন কয়েক আগে বহু প্রতীক্ষার পর কলকাতা এসেছিল বাংলাদেশের ইলিশ। গত বুধবার রাতে বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ইলিশ বোঝাই লরি এ রাজ্যে ঢোকে।
এরপর ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ইলিশ রফতানি বন্ধ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার গত দু'বছর পর এ বছরেও পুজোর আগে উপহার হিসেবে বাংলাদেশের ইলিশ পাঠাতে রাজি হয়।