আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিগত ১০ বছরে এমন শীত দেখেনি বাংলা। এর আগে ২০০৮ সালেও এমন হয়েছিল। সেবারও ফেব্রুয়ারিতে শীত বিদায় নেওয়ার আগে কাঁপন ধরিয়ে ছিল হাড়ে।
তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস দিয়েছিল বৃহস্পতিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়বে। হয়েছেও তাই। এক তারিখ থেকে পরপর ৩ দিন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রির কোঠায়। কিন্তু এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি কম।
তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও সপ্তাহ জুড়ে এমনই থাকবে শীতের দাপট বজায় থাকবে। তাপমাত্রা এর থেকে কমবে না বলেই আশ্বস্ত করেছে হাওয়া অফিস। তবে আগামী সপ্তাহে ফের পারদ পতনের পূর্বাভাস।
কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ভোরের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়তেই কুয়াশার চাদর সরিয়ে ঝলমল করছে রোদ। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আকাশ থাকবে মেঘমুক্ত।
উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। বিহার সংলগ্ন মালদা, উত্তর দিনাজপুরে জারি ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা। সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সিকিম ও দার্জিলিংয়ের পার্বত্য এলাকায়। তুষারপাতেরও সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়া শুকনো থাকবে। তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় প্রায় সবকটি জেলাতেই মাঝারি মানের কুয়াশা দেখা দিতে পারে। আগামী দু’তিন দিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না। এরপর থেকে দু’দিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রাজ্যের কয়েকটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার কোনও কোনও জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।পাহাড়ে বৃষ্টি আর তুষারপাতের পরেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ফের হু হু করে নামবে।
জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছিল কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা। কিন্তু উত্তুরে হাওয়ার প্রভাবে ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই ফের কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা রাজ্য। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় শীতের দাপট বজায় থাকবে।