কলকাতায় গত শনি ও রবিবার যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সেটা ছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারির সর্বোচ্চ। মার্চ পড়তে না পড়তেই রীতিমত গরম অনুভূত হচ্ছে কলকাতার ও শহরতলিতে। বেলা গড়ালেই টের পাওয়া যাচ্ছে চাঁদিফাটা গরম।
গরমের দাপট বাড়তে বাড়তে হঠাৎ করেই কিছুটা পারদ কমেছে তাপমাত্রার। গত বুধবারের মত বৃহস্পতিবারেও কমেছিল ন্যূনতম তাপমাত্রা । এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি উপরে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক বলেই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। তবে মার্চের শুরুতেই ৩৫ ডিগ্রি পেরিয়েছিল কলকাতার তাপমাত্রা।
এদিন সকালে আকাশ রয়েছে পরিষ্কার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্বস্তিকর গরম বাড়বে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ২ ডিগ্রি বেশি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি বেশি।
পূবালি হাওয়ার কারণেই ফাগুনেও রাজ্যে ঢুকছে দক্ষিণা বাতাস। সেকারণেই দিন ও রাতের তাপমাত্রার ফারাক দেখা যাচ্ছে। দিনের বেলা তাপমাত্রার পারদ চড়লেও রাতে কিন্তু আবহাওয়া মনোরম হয়ে উঠছে। অস্বস্তিকর গরম থাকছে না রাতের দিকে।
আবহাওয়ার দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী , আগামী ২৪ ঘন্টায় দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং-এ বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২-৩ দিন হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী ২-৩ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে। পূবালী হাওয়ায় বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প আসায় দিনের বেলায় গরম থাকবে এবং আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
৫ মার্চ রাতে পশ্চিমী হিমালয় এবং সংলগ্ন সমতলে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আছড়ে পড়তে চলেছে। যার জেরে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমের রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৬ ও ৭ মার্চ। । জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে তুষারপাতের সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের হিমালয় সংলগ্ন তিন জেলাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি হতে পারে অসম, মেঘালয় অরুণাচল প্রদেশেও।