Lakshmi Puja 2021: লক্ষ্মীপুজো মানেই নাড়ু। তা সে নারকেলের নাড়ু (Narkel Naru) হোক বা তিল (Tiler Naru)-এর। নাড়ু ছাড়া লক্ষ্মী পুজোর কথা কল্পনাই করা যায় না। ছেলেপিলে তো বটেই, বড়দের অনেকেরই প্রিয় এই নাড়ু। সব ছবি সৌজন্য: ফেসবুক
নারকেলের সঙ্গে চিনি বা গুড় মিশিয়ে তৈরি করা হয় নাড়ু। লক্ষ্ণীপুজো (Lakshmi Puja)-র সময় বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় নাড়ু (Naru)। বেশ কিছুটা সময় খরচ করতে হয় লোভনীয় এই খাবারটি তৈরি করতে। কষ্টও কম হয় না। তবে জিনিসপত্রের যে হারে দাম বেড়েছে এ বছর পাতে দু'টো নাড়ু কম পড়বে।
তবে উপায় নেই। নাড়ু (Naru) তো তৈরি করতেই হবে। তা ছাড়া যেন লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। নাড়ুর জন্য বাজেটে অবশ্য কাটছাঁট করতে হচ্ছে।
নারকেলের দাম তো ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে। কিছু দিন আগে ২০-২৫ টাকা দামে মিলত নারকেল। এখন কোথাও ৫০ তো কোথাও ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কোথাও দাম পৌঁছেছে ৯০-১০০ টাকাও।
বাংলায় কেরল থেকে নারকেল আসে। কেরলের সমপেটা বলে একটা জায়গা রয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর নারকেল আসে বাংলায়। এর পাশাপাশি গ্রামের দিকে বাড়ি বাড়ি নারকেল গাছ আছে। ফলে নারকেলের উৎপাদন বা জোগানের কোনও সমস্যা নেই। তবে আগে শিয়ালদায় ২৫টা হোলসেলার ছিল। বিক্রি কমে গিয়েছে। এখন মাত্র ৪ জন হোলসেলার রয়েছে। বাকিরা সবজি ব্যবসায় চলে গিয়েছেন।
কিছু দিন আগে চিনির দাম ৪২-৪৫ টাকা প্রতি কেজি ছিল। তার দাম বেড়ে গিয়েছে। এখন দাম হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা প্রতি কেজি।
সাদা তিলের দাম ২০০ টাকা, কালো ১৫০ টাকা প্রতি কেজি। যার দাম বেড়েছে অনেকটাই। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে গুড়ের দামও।
তবে বাড়ির বাইরেও প্যাকেটও পাওয়া যায় নাড়ু। সেটা বেশ কয়েক বছর ধরে চালু হয়েছে। তবে তারও দাম বেড়েছে।
এখন ৫টা নাড়ুর প্যাকেট ১২-১৫ টাকায় মিলছে। আগে ছিল ৮-১০ টাকা। তবে তার গুণমান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
বাজারে তৈরি পাওয়া যায় বলে অনেকে বাড়িতে তৈরি নাড়ু করতে চান না। তেমনই একজন বনহুগলির বিদিশা রায়। তিনি জানান, তিলের নাড়ু বানাতে সময় লাগবে। আর তাই বাড়িতে বানানোর বদলে কিনে আনার পক্ষপাতী নয়।
এর পাশাপাশি মিষ্টির দোকানও নাড়ু পাওয়া যায়। সেখানে নারকেলের নাড়ুর দাম মোটামুটি ৫ টাকা থেকে শুরু।