লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়া নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াল। সেই প্রকল্পের টাকা পেতে গেলে নির্দিষ্ট একটি সরকারি ব্যাঙ্কের জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
আর এই কথা প্রচার হতে পুরাতন মালদা পুরসভা সংলগ্ন এলাকার একটি সরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে মধ্যরাত থেকেই লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে মহিলাদের।
এমনকী জিরো ব্যালেন্সের সরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ৫০ টাকা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
যদিও সরকারি ওই ব্যাংকের সিএসপি (কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট) ব্যাঙ্ক মিত্র সুমিত্র বসাক বলেন, আমরা কাউকে বলিনি যে এই ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গেলে লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে। মানুষ এমনিতেই জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খুলতে আসছেন। তাই এই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র থেকে ৫০ টাকার বিনিময় অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তাঁর আরও দাবি, মানুষজন আসছেন, পরপর করতে হবে। অন্য কোনও ব্য়াঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কিছু বলতে পারব না।
আর এই কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে মধ্যরাত থেকেই অসংখ্য মহিলারা ভিড় করেছেন জিরো ব্যালেন্স একাউন্ট খোলার জন্য। এদিন এই গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র এসেছিলেন পুরাতন মালদা পুরসভা এলাকার বাসিন্দা উমা ঋষি, সীতা হালদার, নমিতা মন্ডলদের মতো অনেক মহিলারা।
তাঁরা বলেন, আমরা শুনেছি রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা পেতে গেলে নাকি ওই সরকারি ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
৫০ টাকা করে নিয়ে আমাদের জিরো ব্যালেন্সের অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে জানতে পেরেছি এই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট না করলে লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাসিক ৫০০ টাকা করে পাওয়া যাবে না।