লক ডাউনের মধ্যে অল্প দিনেই ফলতে পারে নানা শাক-সব্জি। ১৫ থেকে ২০ দিনে বর্ষার মধ্যে লকলকিয়ে বেড়ে উঠছে ফসল।
ইচ্ছেমতো খেত থেকে তুলে নিলে হল। রোজ খান খেতের টাটকা শাক-সব্জি। কোনও অসুবিধা নেই। নিজের হাতে ফলালে সার বা অন্য কোনও কিছু রাসায়নিকের নিয়ন্ত্রণও নিজের হাতেই।
ফলে কি দিচ্ছেন, কি দেবেন, নিজেরাই ঠিক করুন। আর ফলিয়ে নিন হাতে গরম টাটকা শাক-সব্জি। পুষ্টির পাশাপাশি মন ভরাবে গ্যারান্টি।
পালং, রাই, ধনে মূলা শাকের বাজারে প্রথম সারিতেই সারা বছর অবস্থান করে শাকগুলি। সেই সঙ্গে মূলা ফলিয়েও আলাদা করে স্বাদ নিতে পারেন।
লক ডাউনের ১৫ থেকে ২৫ দিন যথেষ্ট। এর মধ্য়েই দিব্যি গাছ লাগিয়ে ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। ফলে অসীম ধৈর্য্যের কোনও ব্যপার নেই।
তার উপর এখন বর্ষা ঢুকে গেছে রাজ্যে। ফলে মরশুমের জল গাছে পড়লেই এক সপ্তাহে লকলকিয়ে পাতা বাড়বে কয়েকগুণ।
তবে ইচ্ছে করলে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করতে পলি হাউস তৈরি করে নিতে পারেন। তাতে গাছ নষ্ট হওয়ার সুযোগ কম থাকবে।
এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানী মেহফুজ আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, এখন হার্ড ওয়ার্ক নয়, স্মার্ট ওয়ার্কের যুগ। কারণ প্রতিযোগিতা বেশি।
তাই সময়োপযোগী চাষ করে বাজারে টিকে থাকতে হবে। ফলে কোন সময় কোন ফসল ফলাতে হবে তা জানতে হবে। আর সবজি চাষের ক্ষেত্রে এটা অনেকটাই জরুরি।
পালং, রাই, ধনে, মূলা এগুলি সারা বছর করা গেলেও বর্ষার সময় অল্প সময়ে ভাল ফলন দেয়। তাই এই মরশুমে রোজই ফসল কাটা সম্ভব।
এই শাক-সব্জিগুলি রাজ্যের যে কোনও জায়গায় যে কোনও মাটিতেই কম বেশি চাষ করা সম্ভব। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, কালো কিংবা লালমাটি সবেতেই ফলন হয় ভাল।
তবে অপেক্ষাকৃত অনুর্বর জমিতে চাষ করতে হলে সারের প্রয়োগ ঠিক মতো করতে হবে। তাহলেই সমস্যা হবে না। চাষের পদ্ধতির ভুলে অনেকেই মার খেয়ে যান।
উত্তরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি নিজে হাতে কলমে চাষের পদ্ধতি, সুবিধা-অসুবিধা বুঝিয়ে দিয়েছেন মেহফুজবাবু।