আগামী কিছু দিনের মধ্যে দেশের একটা বড় অংশে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে চলেছে বলে জানিয়ে দিয়েছে মৌসম ভবমন। এর মধ্যে রয়েছে দেশের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিও।
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে বর্ষার আগমন হতে চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহুর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে ঝাড়খণ্ডের উপরে, এছাড়া আরেকটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে রাজস্থান থেকে উত্তর বাংলাদেশ পর্যন্ত। এর জেরে বাংলায় আগামী ২ দিনে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা আরও বাড়বে।
কলকাতার ক্ষেত্রেও ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে । তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতাতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বিকালের দিকে ঝড়ের সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি হতে পারে।
আজ কলকাতায় আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। তবে তাপমাত্রা বাড়ার জন্য আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বাড়বে। এদিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াল, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি বলছে হাওয়া অফিস। সোমবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি বেশি।
উত্তরবঙ্গে এখন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছ। আগামী দুদিন এমনটাই থাকবে। তবে তৃতীয় দিন থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে।
আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যে উত্তর-পূর্ব ভারতে মৌসুমী বায়ু ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে চলেছে, এটাই উত্তরবঙ্গে এই বৃষ্টির মূল কারণ হবে ।
সাধারণভাবে উত্তরবঙ্গে বর্ষার আগমন হয় দক্ষিণবঙ্গের আগে। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মাধ্যমে। ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণচল প্রদেশে বর্ষার প্রবেশের পরে অসমে প্রবেশ করে। অসমের পশ্চিমাংশে বর্ষার আগমন হলে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বর্ষার আগমন হয়।
আবহবিদদের একাংশ মনে করছেন, এই সপ্তাহের না হলেও সামনের সপ্তাহে উত্তরবঙ্গে বর্ষার আগমন হতে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণবঙ্গে সাধারণভাবে ১০ থেকে ১৪ জুনের মধ্যেবর্ষার আগমন হয়। তবে এবারের কথা এখনই বলা যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত নিচুর দিকে মেঘ তৈরিই হয়নি। মেঘ রয়েছে মধ্য ও ওপরের স্তরে। দক্ষিণবঙ্গে ঠিক কবে বর্ষার আগমন হবে, তা এখনই বলতে পারছেন না আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।