রাখি উৎসবে অংশ নিলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। রবিবার তিনি রাখি পরিয়ে দেন দলের বেশ কয়েকজন নেতা, স্থানীয় মানুষকে।
তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহাকে রাখি পরিয়ে দেন। দেওয়া হয় উপহার-পাল্টা উপহার।
তিনি উঠে এসেছেন নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে। তাঁকে বিজেপি শালতোড়ার প্রার্থী করেছিল। বিজেপি বার্তা দিতে চেয়েছিল, সমাজের সব প্রান্তের মানুষকে দলে সমান সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি ভোটে জিতেছিলেন।
কে এই চন্দনা বাউরি?
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের টাকা পেতে বেজায় সমস্যায় পড়েছেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার এই বাসিন্দা। নাম বিভ্রাটের কারণে অন্যের অ্যাকাউন্টে টাকা চলে গিয়েছিল।
তারপর অনেক বলা-কওয়া করে সেই টাকা উদ্ধার হয়। এরপর দ্বিতীয় দফার টাকা এখনও আটকে রয়েছে। প্রশাসনের কাছে বার বার গিয়েও সুরাহা হয়নি।
তিনি চন্দনা বাউড়ি। বাঁকুড়া শালতোড়ার বিজেপি প্রার্থী। এবার বিধানসভা ভোটে তাঁকে টিকিট দিয়েছে দল। তাঁর স্বামী শ্রাবণ বাউরি বিজেপি কর্মী। আর বিজেপির সঙ্গে চন্দনাদেবীর যোগাযোগ মোটামুটি ২০১৩ সাল থেকে।
তখন তাঁরা স্থানীয় ভোট অর্থাৎ পঞ্চায়েতে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু বাধা পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। আর ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিস্তর অভিযোগ। বিরোধীদের অভিযোগ, তাঁরা প্রার্থী দিতে পারেনি। আর প্রার্থী দিলেও তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছিল এবং হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
বছর আটেক ধরে বিজেপি করা শুরু করেন এবং ধাপে ধাপে তার উত্থান। প্রথমে ছিলেন। গঙ্গাজলঘাটি উত্তর মণ্ডলের ভারতীয় জনতা মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। এরপর তাঁর কাজের ভিত্তিতে তাঁকে ওই মন্ডলের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক করা হয়। বুধবার প্রচারের বেরোনোর আগে জানাচ্ছিলেন সে কথা।