বিনোদন বা মনোরঞ্জনের খাতিরে কোথাও ঘুরতে গিয়ে কেবেল কার বা রোপওয়েতে আগেও চড়েছে বাঙালি। কলকাতার সায়েন্স সিটিতেই কেবেল কারে চড়ে সময় কাটিয়েছেন বাংলার আট থেকে আশি!
তবে এবার নিছক বিনোদন বা মনোরঞ্জনের খাতিরে নয়, বরং কলকাতার গণপরিবহণের অঙ্গ হিসাবে জুড়তে চলেছে কেবেল কার বা রোপওয়ে। এই কেবেল যোগে যাতায়াতের প্রস্তাব এসেছে একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে।
জানা গিয়েছে, আপাতত দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা থেকে বাখরাহাট পর্যন্ত রোপওয়ে নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে ওই বেসরকারি সংস্থা। সাতগাছিয়ার বিধায়ক মোহন নস্করের কাছে এ বিষয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনাও জানিয়েছে ওই সংস্থা।
তবে রোপওয়ে চালু হচ্ছে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের সবুজসংকেত না মেলা পর্যন্ত এই প্রকল্পে নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট দেওয়া যাবে না।
ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, আমতলা থেকে বাখরাহাট পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার পথে এই রোপওয়ে বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই ৯ কিলোমিটারের রুটে মোট ৭টি স্টেশন করার প্রাথমিক পরিকল্পনা হয়ে রয়েছে।
সংস্থার দাবি, রোপওয়ে স্টেশন বানাতে খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি কেবেল কারে আট থেকে দশজন করে যাত্রী বসতে পারবেন। রোপওয়ের স্টেশনের উপরে পৌঁছাতে লিফটের ব্যবস্থাও থাকবে। সব মিলিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভোল বদলে যেতে পারে কলকাতার তথা বাংলার গণপরিবহণের।
বাংলার গণপরিবহণে রোপওয়ের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দূষণ, যানজটের সমস্যা কিছুটা কমবে। এর পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হবে এই প্রকল্পের হাত ধরে। এর আগেও শিয়ালদহ থেকে হাওড়া হয়ে নবান্ন পর্যন্ত রোপওয়ে চালু করার প্রস্তাব দিয়েছিল অন্য একটি বেসরকারি সংস্থা। তবে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। এ বার কী হয়, তা জানা যাবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের রিপোর্টে।