নদিয়ার শান্তিপুরের এক বাড়ি থেকে উদ্ধার হল গোখরো সাপ। বাড়ির এক সদস্য সাপটিকে দেখতে পান। খবর দেন বন দফতর। বেশ কিছুক্ষণ পর সেটি উদ্ধার হয়েছে। তবে তাঁদের অভিযোগ, বন দফতর সাহায্য করেনি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শান্তিপুর বি-বা-দী নগর এলাকা থেকে ওই সাপটি উদ্ধার হয়েছে। ভগীরথ দেবনাথের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি গোখরো সাপ। সেটি দেখার পর থেকে আতঙ্কে গোটা পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, প্রায় আড়াই ঘন্টা ওই বিষধর গোখরো সাপটি ঘরের সিঁড়ির নীচে একভাবে ফণা তুলেছিল। স্বভাবতই গোটা পরিবার আতঙ্কে জড়োসড়ো হয়ে পড়ে।
এরপর বন দফতরে ফোন করেন তাঁরা। তবে তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। আর তারপর পরিবারের লোকজন ফোন করে স্থানীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধারকারী অনুপম সাহাকে।
খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যান অনুপম সাহা। অবশেষে ওই গোখরো সাপটিকে বস্তাবন্দি করে উদ্ধার করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, সাপটি উদ্ধার হওয়ার পরে যথেষ্টই স্বস্তি মিলেছে। না হলে খুবই আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন তারা।
অনুপম সাহা জানান, গত দু'বছর ধরে শান্তিপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক বিষধর সাপ। প্রত্যেক গৃহস্থের বাড়ির সদস্যদের উচিত একটু সাবধানতা অবলম্বন করা। অন্ধকার জায়গা এড়িয়ে চলা দরকার। এছাড়াও বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। তাহলে সাপের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অনুপম সাহা জানান, সাপটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন শান্তিপুর বাহাদুরপুর পলাশগাছি বিটের বনদপ্তর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ওই পরিবারের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ জানান, সিঁড়ির ঘরের নীচে দেখতে পাই। জানতে পারি গোখরো সাপ। বন দফতরে ফোন করি। তবে তেমন কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে অনুমপবাবুর সঙ্গে যোগায়োগ করা হয়। তিনি জানতে পেরে এখানে আসেন। আর সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। তারপর আতঙ্কমুক্ত হয়েছে পরিবার। আমরা বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।