উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিকে পরোক্ষে সমর্থন করায় আলিপুরদুয়ারে বিজেপি সাংসদ জনবারলার কুশপুত্তলিকা দাহ করলো যুব তৃনমুল।
কখনও সুবাস ঘিসিং কখনও বিমল গুরুং। আবার কখনও সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যেমে বাংলা ভাগের দাবিকে সামনে রেখে সরব হয়েছে নিষিদ্ধ কেএলও জঙ্গি সংগঠন। বাংলা ভাগের দাবিকে কেন্দ্র করে বরাবর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের রাজনীতি।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবিতে দির্ঘদিন ধরেই চলা আন্দোলনে প্রান গেছে বহু মানুষের। রক্তাক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গের সবুজ জঙ্গল। কখনও পৃথক কামতাপুর রাজ্যের দাবীতে সরব হয়েছেন অতুল রায়, নিখিল রায়। আবার কখনো গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবীতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন সংগঠিত করেছে বংশীবদন বর্মনরা।
অন্যদিকে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে একদা সোচ্চার হয়েছিলেন সুভাষ ঘিসিং তারপর সেই দাবিকে সামনে রেখেই পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যে দাবি করে উত্তরবঙ্গ জুড়ে আন্দোলন শুরু করেন বিমল গুরুং। এবার সেই একই দাবিতে সংবাদ মাধ্যেমে সরব হয়েছেন একদা বিমল গুরুং ঘনিষ্ঠ তথা আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা।
তবে, গত এক বছর ধরে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যে ঘোষনাকে কেন্দ্র করে কোন আন্দোলন সংগঠিত হয়নি। যদিও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি অভাবনীয় ফলাফল হয়েছে।এরপর থেকেই উত্তরবঙ্গকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পৃথক রাজ্যের দাবীতে সামিল হয় বিজেপির কর্মী, সমর্থক এবং কিছু নেতৃত্ব।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির এই পৃথক রাজ্যের দাবির পক্ষে ও বিপক্ষে মতবাদের ঝড় উঠে। তবে বিজেপি কর্মীদের এই দাবিকে পরোক্ষে সমর্থন জানিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা সংবাদ মাধ্যেমে তার প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি সংবাদ মাধ্যেমে বলেন, উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল করার দাবিতে তিনি কেন্দ্র সরকারের দ্বারস্থ হবেন। সাংসদ জন বারলার এই দাবীকে সমর্থন জানান জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় ৷
তবে জন বারলার এই দাবিকে সমর্থন করছে না বিজেপির জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্যে কমিটির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গকে আলাদা করার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
কেউ যদি এই বিষয়ে কোন দাবি করে থাকে তবে তা ব্যক্তিগত বিষয়। যদিও এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি দুই জেলার বিজেপি সাংসদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন বিজেপি চায় উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন। বিজেপি বাংলা ভাগের বিরোধী। সাংসদ কি বলেছেন জানিনা। যদি কিছু বলে থাকেন দল তার দায়িত্ব নেবে না।