শনিবার দিনভর শঙ্কার মধ্যে রেখে শেষপর্যন্ত স্বস্তির খবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্যে শক্তি হারিয়েছে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। ফলে বাংলায় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা ও আতঙ্ক কেটেছে।
IMD স্পষ্ট করে দিয়েছে, ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়বে না ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। ওড়িশা-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে পৌঁছনোর আগে ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে।
উত্তরে হাওয়া বা শীতলবায়ুর কারণেই মাঝ সমুদ্রে শক্তি হারাল ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ, এমনটাই মনে করছেন আবহবিদরা। তবে নিম্নচাপ হিসেবে তা উপকূলকে উত্তাল করে দেবে। এর জেরেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় রবিবারও বৃষ্ট চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শনিবার বিকেল থেকে বাংলার উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রবিবার নয় জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সোমবার ৪ জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম ও হাওড়ায় বৃষ্টি হতে পারে ৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত। এদিন বীরভূম, বাঁকুড়া, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে নদিয়া, মুর্শিদাবাদে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ কাটলেও এই মুহূর্তে ক্ষতির সম্ভাবনা বলতে মাঠে থাকা ফসলের। কেননা মাঠে রয়েছে ধান। এছাড়াও বেশিরভাগ জায়গায় আলু বীজও পোঁতা হয়ে গিয়েছে। ফলে এই সময়ের বৃষ্টি এইসব ফসলের প্রভূত ক্ষতির সম্ভাবনা, বলছে আবহাওয়া দফতর।
এদিকে শনিবার শকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে উধাও শীত। জাওয়াদের আগমনের জেরেই আপাতত ছুটি শীতের। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে সাধারণত ১৫ নভেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতকাল বিরাজ করে। নিম্নচাপ কাটলে ফের তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী হতে পারে বলে আশা আবহবিদদের।
এদিকে শনিবার রাত থেকেই বৃষ্টি চলছে শহর কলকাতায়। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনটাই চলবে। আকাশের মুখ ভার। রোদের দেখা নেই। আজ তিলোত্তমার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ৪ ডিগ্রি বেশি। শনিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রিষ স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৪ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৮৪ শতাংশ।