পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করেছে। আগামী দুদিনের মধ্যে রাজ্যের সর্বত্রই বর্ষা বিদায় সম্পন্ন হবে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এমনটাই।
রাজ্য জুড়েই এখন শুকনো আবহাওয়া। অনেক জায়গাতেই রাতের তাপমাত্রা নেমেছে। তবে শীত আসার নির্ঘণ্ট এখনও দিতে পারেনি হাওয়া অফিস।
রাজ্যে ঘূর্ণিঝড়ের কোনও সতর্কবার্তা না থাকলেও, ২০ অক্টোবর নাগাদ পশ্চিম মধ্য এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর শক্তি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা।
মৌসম ভবনের (IMD) ওয়েদার আপডেট অনুযায়ী সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ ভারতের উপকূলে প্রভাব ফেলতে পারে৷ এই সাইক্লোনের কারণে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে৷ তামিলনাড়ু, পুদুচেরি এবং কেরলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তবে দেশের উত্তর-পশ্চিমের বিস্তীর্ণ অংশ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। অন্যদিকে বিদর্ভ, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্রের একটি অংশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার কিছু অংশ থেকেও আগামী দুদিনের মধ্যে বর্ষা বিদায় নেবে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। IMD-র সাম্প্রতিকতম ওয়েদার আপডেট অনুসারে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সম্পূর্ণরূপে বিহার, সিকিম, মেঘালয় এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে সরে গেছে।
শনিবার সমগ্র উত্তরবঙ্গ থেকে বর্ষা বিদায় নিয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেও বর্ষা বিদায় নিয়েছে। আগামী দুদিনের মধ্যে পুরো রাজ্য থেকেই বর্ষা বিদায় নেবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ফলে উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আপাতত কোথাও ভারী কিংবা হাল্কা কোনও রকমের বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
দক্ষিণবঙ্গেও সবকটি জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে মঙ্গলবার নাগাদ রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলি অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোনও কোনও জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় পরিষ্কার আকাশ দেখা যাবে। এদিন সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক বলছে হাওয়া অফিস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রির আশেপাশে।