তুমুল ঝড়বৃষ্টি (Weather) কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। সোমবার বিকেল থেকে তুমুল ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় এদিন বিকেলে ঝড় শুরু হয়। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বৃষ্টি হয়। কলকাতায় ঘণ্টায় ৮৪ কিমি বেগে ঝড় হয় এদিন। তিন মিনিট ধরে এই গতিবেগ ছিল ঝড়ের। অন্যদিকে দমদমে ৬২ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে কালবৈশাখী হয় এদিন।
রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত যান চলাচল। শহর থেকে শহরতলির বহু জায়গায় গাছ উপরে পড়ে যান চলাচল ব্যাহত। শিয়ালদহ এবং হাওড়ার একাধিক লাইনে ওভারহেড়ের তার ছিঁড়ে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। ফলে অফিস থেকে ফেরার পথে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
সন্ধ্যার পর সোমবার রাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা-সহ দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায়। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, ওই সব জায়গায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সোমবা রাত ৮টা থেকের শুরু হয়ে এই বৃষ্টি চলতে পারে এক থেকে দু’ঘণ্টা।
জানা যাচ্ছে উলুবেড়িয়া ও বাগনানে মৃত দুই। হঠাৎ ঝড়ে উলুবেড়িয়া বহিরা ছোট আমশায় বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু রামচন্দ্র মণ্ডলের (৬০)। অন্যদিকে, বাগনানের বরুন্দায় গাছ চাপা পড়ে মৃত ১, মৃতের নাম রজনী পাণ্ডে (৪২)। ঝড় বৃষ্টির সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। সেই সময়ে খেজুর গাছ চাপ পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
ভিক্টোরিয়ার সামনে পরপর গাড়ির ওপর উল্টে পড়ে গাছ। দুমড়ে মুচড়ে যায় একটি গাড়ি। আহত হন এক আরোহী। ৪ টে গাড়ি ও ১ টা বাইকের ওপর উল্টে পড়েছে। ১ জন আহত। গাড়িটা দুমড়ে মুচড়ে গেছে।ঝড়ের মধ্য়ে গাড়ির মধ্য়ে ডাল পড়ে যায়। দমদমেও গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ে গাছ। আহত হন যাত্রী।
লেক গার্ডেন্স, সাদার্ন অ্য়াভিনিউতেও বিভিন্ন প্রান্তে গাছ পড়ে ব্য়াপক যানজট তৈরি হয়। আহত হন একাধিক পথচারী। বাঁকুড়ায় প্রবল ঝড়ে একটি বাড়ির পর ভেঙে পড়ে হোর্ডিং ও তার স্ট্রাকচার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়ি।
এরইমধ্য়ে বারুইপুরে হয় শিলাবৃষ্টি। চন্দ্রকোণাতেও মারাত্মক ঝড় বৃষ্টি হয়। প্রচণ্ড দুর্যোগের জেরে, শিয়ালদা মেন ও দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। শ্যামনগর-কাঁকিনাড়ার মাঝে রেললাইনে ভেঙে পড়ে গাছ। দক্ষিণ বারাসাত-জয়নগরের মধ্যে বন্ধ ট্রেন চলাচল ব্য়াহত।হাওড়া- বর্ধমান মেন লাইনের ট্রেন চলাচল ব্য়াহত হয়।
নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলি থেকে প্রচুর পোল পড়ে যাওয়ার খবর এসেছে।
এদিন বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। স্বস্তির বৃষ্টি এলেও ঝড়ে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল ঝড় বৃষ্টিতে বেশ কিছু মাটির ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে।