আজ ১৫ জানুয়ারি,রবিবার, মকর সংক্রান্তি। সকাল থেকেই সাগরে মকরস্নানে নেমেছেন পূর্ণার্থীরা। যদিও এবারের সংক্রান্তিতে উধাও অন্যান্যবারের মতো চেনা শীত।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ২০১০ সালের পর এবছর এমন ‘উষ্ণ’ মকরস্নান হচ্ছে। ৫৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে উষ্ণতম মকর সংক্রান্তি বাংলায়। ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি রাজ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে শহর কলকাতার তাপমাত্রা। যা কার্যত নজিরবিহীন। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। শনিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কলকাতায় সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও পরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে।
হাওয়া অফিস শীত বিদায়ের ইঙ্গিত না দিলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা যে আর সেভাবে পড়বে না, তা জানিয়ে দিয়েছে ৷ তবে জানুয়ারির শেষভাগে শীতের একটা স্পেল আসার সম্ভাবনা আবহবিদরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না ৷
হাওয়া অফিস বলছে, আগামী ৫ দিন দক্ষিণবঙ্গে প্রধানত পরিষ্কার ও শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে, কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশা সম্ভাবনা থাকছে।
নতুন সপ্তাহে বৃষ্টিরও পূর্বাভাস রয়েছে রাজ্যে। ১৭ তারিখে রাতের দিকে বা ১৮ তারিখে সকালের দিকে উপকূলের কাছাকাছি কয়েক জায়গায় খুব হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
গঙ্গাসাগরে ১৭,১৮ তারিখে খুব হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে, তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১ থেকে ২ ডিগ্রি বেশি থাকবে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী ৫ দিন শুষ্ক ও পরিষ্কার আবহাওয়া থাকবে। শুধু দার্জিলিং,কালিম্পং-এর পাহাড়ি এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। উত্তরবঙ্গে সকলের দিকে কুয়াশা থাকবে বিশেষ করে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার তেমন কোন পরিবর্তন হবে না।
বঙ্গোপসাগরে একটি উচ্চচাপ বলয় রয়েছে ৷ সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করছে রাজ্যে ৷ ফলে কলকাতা-সহ উপকূলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গিয়েছে ৷ দিনের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি বেড়ে যাবে ৷ আগামী ৫ দিন উচ্চচাপ বলয় বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। সেজন্য স্বাভাবিকের থেকে অনেকটা বেশি চলছে রাতের তাপমাত্রা।