বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ কোভিড বিধি মেনে বৃক্ষরোপন ও বৃক্ষদানের কর্মসূচি পালন করে শ্যামবাজার অঞ্চলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ ও কর্মসূচির অংশ ছিল। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক শ্যামল চক্রবর্তী মহাশয়, বিশিষ্ট পরিবেশবিদ তপন সাহা, বিজ্ঞান মঞ্চ কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক শেখ সুলেমান-সহ বিশিষ্টরা। অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় ছিল আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু স্মারক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ। পরিবেশবান্ধব যান সাইকেলকে আরও বেশি করে ব্যবহারের জন্য আর্জি জানানো হয়।
'বন্য' নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজন করেছিল চারাগাছের সঙ্গে সেলফি। পরিবেশ নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ। অজস্র কচিকাঁচা অংশ নিয়েছিল এই প্রতিযোগিতায়।
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল পরিবেশ ভবনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) রত্না দে নাগ, দফতরের সচিব বিবেক কুমার, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র, পর্ষদের সদস্য সচিব রোশনী সেন প্রমুখ।
চারাগাছ লাগানোর কর্মসূচি নিয়েছিলন ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা। এদিন বিদ্যাসাগর সেতু ট্রাফিক গার্ডের পুলিশকর্মীরা। গার্ডেন রিচের কাছে বিদ্যাসাগর সেতু ট্রাফিক গার্ড কমপাউন্ডে চারাগাছ লাগানো হয়।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, বাড়িতে বৃক্ষরোপণ এবং জল বিষয়ক ওয়েবিনারের মধ্য দিয়ে ২০১৮ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ না পাওয়া মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা সপ্তাহকাল ব্যাপী পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানের যে কর্মসূচি নিয়েছিল। এদিন তার সমাপ্তি ঘটল। ‘জল সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সুসংহত পদ্ধতি’ শীর্ষক ওয়েবনারের বক্তা ছিলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা শাখার পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপিকা ড. প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের দিনে জলসম্পদ রক্ষা কতখানি জরুরি, সেই দিকটি তার আলোচনায় উঠে আসে। তিনি বললেন, ‘প্রতিটি মানুষকে তার পরিবেশের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে। দেখা যায় যে প্রাকৃতিক সম্পদগুলো সবার ব্যবহারের জন্য, সেই বিষয়ে সবার উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। অথচ কেউই সেই বিষয়ে উদ্বিগ্ন নন।’
মোট ১৮২ জন প্রতিযোগীর মধ্য থেকে প্রথম তিন জনের নামও আজ ঘোষিত হয়। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিষয়ে ড. ক্ষুদিরাম চক্রবর্তী জানালেন, ২৫-৩০ টি ইমেল পেয়েছি। ছেলে-মেয়েদের এই উৎসাহ আমাদেরকে অভিভূত করেছে। মোট ৬ জন তিনটি ধাপে সমস্ত লেখাকে মূল্যায়ন করে সেরা ৩ জনকে নির্বাচন করেছেন।’ তাদের পরিবেশ সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানে বাইরের দেশ ও ভিন্ন রাজ্যের অনেকেই যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেল। পরিবেশ সচেতনতা প্রচার অভিযানের আহ্বায়ক আব্দুল হামিদ জানালেন, ‘প্রচারাভিযানে সংগঠনের বাইরের অনেকেই যে ভাবে স্বতঃস্ফূর্ত এগিয়ে এসেছেন তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। সকাল থেকেই দেখছি বহুজন বাড়িতে, চারপাশে গাছ লাগিয়ে সেই ছবিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন। এভাবে সাবাই পরিবেশ বিষয়ে সেচতন হলে আমাদের চারপাশের পরিবেশকে আমরা আরও সুন্দর করে তুলতে পারব।’ এবার তাদের স্লোগান ছিল ‘গাছের জন্য বাঁচা। বাঁচার জন্য গাছ।’