চাকদহে উদ্ধার বিপুল অস্ত্র, বড় সাফল্য নদিয়া পুলিশের

বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের বড়সড় সাফল্য পেল নদিয়া পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি গুদামে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর সেই গুদাম থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র-সহ কার্তুজ। এত পরিমাণ অস্ত্র মজুত করা দেখে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের জালে গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত।

Advertisement
চাকদহে উদ্ধার বিপুল অস্ত্র, বড় সাফল্য নদিয়া পুলিশেরথানায় ধৃতরা

বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের বড়সড় সাফল্য পেল নদিয়া পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি গুদামে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর সেই গুদাম থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র-সহ কার্তুজ। এত পরিমাণ অস্ত্র মজুত করা দেখে চোখ কপালে ওঠে পুলিশের। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের জালে গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত।

পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নদিয়ার চাকদহের দরাপপুর শীতলা তলা গ্রামের একটি গুদামে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর প্রিয়াংশু বিশ্বাস নামে ১৮ বছর বয়সী এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশের সামনে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরপর ওই গুদাম থেকে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে একটি দেশি ৭ এমএম পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, চার রাউন্ড কার্তুজ, গোলাবারুদ, একটি বিশালাকার তরোয়াল, আরও একটি ধারালো অস্ত্র।

শুক্রবার ধৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয় পুলিশের তরফে। এই ঘটনায় সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে সবটাই তুলে ধরে পুলিশ। সম্প্রতি এর আগেও নদিয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। এবার ফের একটি গুদামের ভিতর থেকে একাধিক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন। কারণ ২০২৬-এ রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। কিভাবে এত সংখ্যক অস্ত্র ওই গোডাউনে মজুত করা ছিল এবং ছিল কী উদ্দেশ্য সবটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি নেতা সোমনাথ করের অভিযোগ, পুলিশ এই অস্ত্র উদ্ধার করেছে। কাদের কাছ থেকে এটা পাওয়া গেল, যোগসূত্রে কী তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে। গোটা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশ আছে বাংলাদেশে থেকে প্রচুর রোহিঙ্গা ও মুসলিম প্রবেশ করেছে বাংলা দিয়ে। ঠিকভাবে কাজ হলে অন্য রাজ্যে যে পরিমাণ রোহিঙ্গা ধরা পড়ছে এরাজ্যে তার থেকে অনের বেশি ধরা পড়বে। পাশাপাশি, এই অস্ত্র দিয়েই আগামীদিনে বিধানসভা ভোট করাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পারছে সাধারণ মানুষ জেগে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূল একটি নৈতিকতা হারানো দল। 

Advertisement

নদিয়া দক্ষিণ জেলা আইনটিটিইউসি নেতা সনৎ চক্রবর্তীর পাল্টা দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসকে অন্ত্র নিয়ে নির্বাচন করতে হয় না। তৃণমূল কংগ্রেসের অস্ত্র মানুষ। মানুষ তৃণমূলের পাশে রয়েছে।

POST A COMMENT
Advertisement