বাংলার প্রতিটি মানুষের জন্য সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দিতে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এই নিয়ে একের পর এক জনমুখী পকল্পও চালু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাকি সব সমস্যার সমাধান। অর্থাৎ তাঁর কাছে নাকি সমস্ত সমস্যার সমাধান আছে। অন্তত এমনটাই দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা,কর্মী ও সমর্থকেরা। অনেক মানুষই নিজেদের সমস্যা ও দাবি দাওয়ার বিষয়ে তাঁকে জানান। তবে এবার তাঁর কাছে এক অভিনব আবেদন। আবেদনকারী ৫ বছরের এক শিশু।
মুখ্যমন্ত্রীকে 'দিদুন' সম্মোধন করে চিঠি দিয়েছে ৫ বছরের শিশু ঐতিহ্য দাশ। কিন্তু চিঠিতে কী লিখেছে ঐতিহ্য? চলুন প্রথমে চিঠিটি একবার পড়ে নেওয়া যাক। চিঠিতে লেখা, প্রিয় মমতা দিদুন, আমার নাম ঐতিহ্য দাশ। বয়স পাঁচ। আমার বাড়ি আসানসোল। আমার মা উত্তর দিনাজপুরের প্রাইমরি দিদিমণি। তাই আমাদের ছেড়ে ওখানে থাকে। অনেকদিন পরপর বাড়ি আসে। আমি বাবা আর দাদুর সঙ্গে বাড়িতে একা থাকি। আমার খুব কষ্ট হয় মাকে ছাড়া। আমি আমার মাকে খুব ভালোবাসি। তুমি তাড়াতাড়ি মাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। আর যেন আমাকে ছেড়ে না যায়। ইতি তোমার আদরের ঐতিহ্য। চিঠির শেষে আরও একবার নিজের বয়স উল্লেখ করেছে ওই শিশু।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ২০২১ সালের নিয়োগপ্রাপ্ত ১৬,৫০০ প্রাথমিক শিক্ষকের পোস্টিং ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয় রাজ্যে। ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ি থেকে দূরবর্তী জেলায় তাঁদের পোস্টিং করা হয়েছে, এই অভিযোগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক দফতরের দ্বারস্থ হয়েছেন শইক্ষক-শিক্ষিকারা। বছর ঘুরলেও সুরাহা মেলেনি। আর এবার দেখা গেল উত্তর দিনাজপুরের রহতপুর এফ.পি স্কুলের শিক্ষিকা স্বাগতা পাইনের বছর পাঁচেকের সন্তান ঐতিহ্য দাশ ঠাকুরদার সাহায্য নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে লিখল খোলা চিঠি। মা কাছে চলে এলে তাঁর 'মমতা দিদুন'কে ধন্যবাদ জানাবে বলেও জানিয়েছে ঐতিহ্য। আর ঐতিহ্যর এই চিঠি দেখে অবাক তাঁর মা স্বাগতা পাইনও। উল্লেখ্য স্বাগতা পাইনের বাপের বাড়ি বাঁকুড়া ও শ্বশুরবাড়ি আসানসোলে।
রিপোর্টার- নির্ভীক চৌধুরী