বিজেপি অফিসের ঠিকানায় এল ৫৫টি বাইকবিহার থেকে বর্ধমান বিজেপি অফিসের ঠিকানায় এল ৫৫টি বাইক। জানা গিয়েছে, বিজেপি নেতার নামে ওই বাইকগুলি এসেছে। রেল পথে পার্সেলে পাটনা বিজেপি অফিস থেকে সেগুলো বর্ধমান স্টেশন পার্সেল অফিসে এসেছে বলে রেল সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার অফিসের ঠিকানায় জনৈক সুনিল গুপ্তা-র নামে মোটরসাইকেলগুলি এসেছে।
খবর তৃণমূলের কাছে পৌঁছাতেই শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তন্ময় সিংহ রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা পার্সেল অফিসে পৌঁছান। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব ততক্ষণে বেশিরভাগ মোটরবাইকই পার্সেল অফিস থেকে নিয়ে গেছে। রেলের পার্সেল অফিসে গিয়ে ১৭টি বাইক আটকায় তৃণমূল।
তৃণমূলের দাবি, "সামনে ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি ভিন রাজ্য থেকে বাইক এনেছে এরপর সন্ত্রাস করার জন্য আসতে আসতে লোকও আনবে। এই রাজ্যে কী উদ্দেশ্যে এইভাবে বিহার থেকে বাইক ঢোকানো হচ্ছে তা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমরা চুপ থাকব না। এরা তো এই মোটরসাইকেল দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অপরাধমূলক কাজকর্ম করে আবার চলে যাবে। তাই প্রশাসনের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি, এই মোটরসাইকেল গুলো কারা ব্যবহার করবে বা কি উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হলো এই সমস্ত তদন্ত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এই সমস্ত মোটর সাইকেল রাস্তায় বেরোলে আটক করতে হবে। বিহার থেকে এতগুলি মোটরসাইকেল কীভাবে বর্ধমানে এল, তার তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই এখান থেকে মোটরসাইকেল বের করতে দেওয়া হবে না।" তৃণমূলের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানান, বিহারের ভোটে বাইকগুলো ব্যবহার হয়েছে কর্মীদের জন্য। এরপর ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে বাইকগুলোকে আনা হয়েছে বঙ্গের সক্রিয় কর্মীদের ব্যবহারের জন্য।