গত শনিবারই এসএসসি মামলায় অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার সন্ধেয় ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়। আর এই দাগি তালিকা প্রকাশ হতেই এক তৃণমূল কাউন্সিলরের কান ধরে ওঠবস ভাইরাল হয়েছে। বিবেক দংশনেই তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি ওঠবস করেছেন বলে দাবি করেছেন। সেইসঙ্গে জনগণের কাছে ক্ষমাও চান এই তৃণমূল নেতা।
চাকরি দুর্নীতিতে দলের নেতাদের হয়ে প্রকাশ্যে কানধরে ওঠবস করে ক্ষমা চান তৃণমূল কাউন্সিলর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও (ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি আজতক বাংলা)। 'টাকা নিয়ে আমাদের দলের নেতারা মুখ খুলছে না। গোপনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাই আমি জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছি', ওঠবস করে দাবি করেছেন তমলুক পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)-কে আক্রমণ করে পার্থসারথি মাইতি বলেছিলেন, ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের সময় শুভেন্দুই ছিলেন আসল ‘দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড’। তাঁর দাবি, ‘টাকা নিয়ে আমাদের দলের নেতারা মুখ খুলছে না। গোপনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাই আমি জনগণের কাছে ক্ষমা চাইছি’।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পার্থসারথি মাইতি বলছেন—'আমি দুঃখিত, আমি লজ্জিত', এবং সঙ্গে সঙ্গেই কান ধরে ওঠবস করছেন। এর আগেও কান ধরে ভুল স্বীকার করতে দেখা গেছে তমলুকের এই কাউন্সিলরকে। তমলুক পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের নার্সিংহোমের প্রায় দেড় লক্ষ টাকা পুরকর বকেয়া থাকা নিয়ে সমাজমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন পুরসভার আরেক তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। এ ভাবে প্রকাশ্যে তৃণমূল কাউন্সিলারের নার্সিংহোমের পুরকর বকেয়া নিয়ে মন্তব্য করায় পার্থসারথীর বিরুদ্ধে দলেরই জেলা সভাপতি সুজিত রায় মন্তব্য করেছিলেন। পার্থসারথিকে দলেরই একাংশ সমাজ মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগও ওঠে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ পার্থসারথি সমাজ মাধ্যমে নিজের কান ধরে মন্তব্য করেন, 'কান ধরে ভুল স্বীকার করেছি । সত্য কথা বলা একটি পাপ।' এবারও সেই একই ভাবে কান ধরে ওঠবস করে ভাইরাল হলেই তিনি।