ভোট-বঙ্গে জোর চর্চায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। সন্দেশখালির একের পর এক ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তর্জা চলছে। এবার সন্দেশখালির এক মহিলা ও তাঁর শাশুড়ি কয়েকজন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগ তুলে নিলেন। তাঁদের দাবি, জাতীয় মহিলা কমিশনের নির্দেশে সাদা কাগজে তাঁদের সই করানো হয়। সেই কাগজেই ধর্ষণের অভিযোগ লেখা হয়।
স্থানীয় নেতার বক্তব্যের ফুটেজ ভাইরাল হয়
সম্প্রতি সন্দেশখালিতে বিজেপি-র ভূমিকা নিয়ে বিজেপি-রই এক স্থানীয় নেতার বক্তব্যের ফুটেজ ভাইরাল হয়। যদিও ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও-টির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in। এবার দুই মহিলার দাবিতে নতুন করে বিতর্ক দানা বাঁধল। প্রশ্ন উঠছে, সন্দেশখালিতে আসলে কী হয়েছে?
জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করা হয়
সংবাদমাধ্যমকে সংশ্লিষ্ট মহিলা ও তাঁর শাশুড়ি জানিয়েছেন, তাঁদের জোর করে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করা হয়। দিল্লির মহিলা কমিশনের নির্দেশে ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে হয়। ওই দুই মহিলা এদিন নতুন করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। সেই অভিযোগে তাঁদের দাবি, যেহেতু তাঁরা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন, তাই তাঁদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার ওই মহিলা ও শাশুড়ির বিবৃতি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রেকর্ড করা হয়। মহিলার কথায়, 'আমরা কোনও রকম মিথ্যে অভিযোগের সঙ্গে জড়াতে চাই না। আমাদের প্রতিবেশীরা পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কথা বলছে না। আমি ওদের মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বললে আমাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।'
একটি সাদা কাগজে সই করানো হয়
ওই দুই মহিলার আরও দাবি, পিয়ালি দাস ও মাম্পি দাস তাঁদের বাড়িতে যান এবং তাঁকে ও তাঁর শাশুড়িকে নিয়ে যান থানায় অভিযোগ দায়ের করাতে। অভিযোগকারী মহিলার কথায়, 'তিনি থানায় যাওয়ার পর গেট ভিতর থেকে তালা দেওয়া ছিল। আমার শাশুড়ি কেবল বলেছিলেন, ১০০ দিনের চাকরির প্রকল্পের অংশ হিসাবে রান্নার জন্য তিনি এখনও তাঁর বকেয়া পাননি। এরপর তাকে একটি সাদা কাগজে সই করানো হয়। মামলাগুলির কথা আমরা জানতাম না।'
মহিলার দাবি, তাঁকে ও তাঁর শাশুড়িকে দিয়ে যে সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল, সেই কাগজে আসলে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ। তিনি বলছেন, 'কিছু ঘটেনি। পুরোটাই সাজানো, মিথ্যে অভিযোগ। আমরা কোনও মিথ্যে অভিযোগের সঙ্গে জড়াতে চাই না।'
আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, তারা বিজেপি-র শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করবে।