দিল্লিতে বিধানসভা ভোটে ত্রিমুখী লড়াই। তিন অক্ষের মধ্যে দুই অক্ষে যুযুধান আপ ও কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের সময় দুই দল সমঝোতা করে লড়াই করেছিল। ইন্ডিয়া জোটেরও সদস্য তারা। সেই লড়াইয়ে কংগ্রেস নয়, আপকে সমর্থন দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন অধীর চৌধুরী। কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যের দাবি, দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন নিয়ে বাঙালির ভোট চাইলে কেজরিওয়ালেরই বিপদ হবে। কারণ, বাঙালিরা বাংলার স্বৈরাচারী-দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।
লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে আলাদা লড়াই করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জাতীয়স্তরে জোট থাকলেও বাংলায় তারা একাই লড়াই করবে। সেই প্রসঙ্গ তুলে অধীর বলেন,'দিদি কোনওদিন কংগ্রেসের জন্য কিছুই করেননি। গত লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটের সদস্য হয়েছিলেন। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটকে ভোট দাও বলে বাংলার বাইরে উনি কোনও কথা বলেছেন?'
অধীরের বক্তব্য,'ইন্ডিয়া জোটকে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট সংগ্রহের জন্য ব্যবহার করেছিলেন উনি। ইন্ডিয়ার মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে দাও, যাতে সারা ভারতে বিজেপির বিরুদ্ধে যে বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে তার সুবিধা নাও, আর কংগ্রেসের ক্ষতি করো। এই পশ্চিমবঙ্গেও কংগ্রেসের ক্ষতি করেছে। সারা ভারতের নির্বাচনে কোথাও ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার কথা বলেছে? না। শুধু তাই নয়, বিজেপি যখন কংগ্রেসকে দুর্বল করার চেষ্টা করছেন, তখন তিনি এগিয়ে আসেন। তিনি অনেক স্বপ্ন দেখতে পারেন'।
দিল্লিতে মমতার সমর্থন নিয়ে কেজরিওয়ালের হিতে বিপরীত হবে বলেও মনে করেন অধীর। তাঁর অভিমত,'দিল্লির বাঙালিরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্বৈরাচারী শাসন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। পশ্চিমবঙ্গের আজকের সরকারের সমালোচক তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গকে রসাতলে পাঠানো হচ্ছে, চোর-বাটপারদের রাজ্যে রূপান্তরিত হচ্ছে, তার জন্য দিল্লির বাঙালিরা আমাদের কাছে আফসোস করেন। দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন নিয়ে বাঙালির ভোট চাইলে কেজরিওয়ালেরই বিপদ হবে। দিদির কিছু হবে না'।