বাড়ি ফিরেই বয়ান বদল, অপহরণই করেছিল TMC, দাবি পঞ্চসায়রের চার বিজয়ী প্রার্থীর

দেড় দিন পরে বাড়ি ফিরেই তৃণমূলের দিকে অভিযোগ ছুড়ে দিয়েছেন ওই চারজন। চিঠিতে লিখেছিলেন নিজেরাই গিয়েছেন, বাড়ি ফিরে বললেন, গেস্ট হাউস থেকেই বন্দুক দেখিয়ে তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে। চাপে পড়েই প্রথম ভিডিয়ো বার্তা তাঁরা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন, মথুরপুরের বিরোধী শিবিরের এই চার জয়ী প্রার্থী। তাঁদের সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। ভয় দেখিয়ে বয়ান রেকর্ডও করানো হয়েছিল।

Advertisement
বাড়ি ফিরেই বয়ান বদল, অপহরণই করেছিল TMC; দাবি ৪ বিজয়ী প্রার্থীরবাড়ি ফিরেই বয়ান বদল, অপহরণই করেছিল TMC; দাবি ৪ বিজয়ী প্রার্থীর
হাইলাইটস
  • বাড়ি ফিরেই বয়ান বদল
  • অপহরণই করেছিল TMC
  • দাবি ৪ বিজয়ী প্রার্থীর

শনিবার রাতে বিজেপির তিন বিজয়ী প্রার্থী ও সিপিএম সমর্থিত এক নির্দল প্রার্থীকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পঞ্চসায়র থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সিপিআইএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। যদিও এরই মধ্যে পঞ্চসায়র থানায় একটি ‘চিঠি’ আসে। যাতে ওই চার জয়ী প্রার্থী জানিয়েছিলেন, তাঁদের কেউ অপহরণ করেনি। তাঁরা নিজেই গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে পুলিশ সূত্রে খবর মেলে, চারজনকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দেখা গিয়েছে। তারপরই আবার নয়া মোড়। বাড়ি ফিরেই তাঁরা আবার নতুন দাবি করেছেন, জোর করে তাঁদের দিয়ে ওই বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হয়েছিল চিঠি দিয়ে।

দেড় দিন পরে বাড়ি ফিরেই তৃণমূলের দিকে অভিযোগ ছুড়ে দিয়েছেন ওই চারজন। চিঠিতে লিখেছিলেন নিজেরাই গিয়েছেন, বাড়ি ফিরে বললেন, গেস্ট হাউস থেকেই বন্দুক দেখিয়ে তাঁদের অপহরণ করা হয়েছে। চাপে পড়েই প্রথম ভিডিয়ো বার্তা তাঁরা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন, মথুরপুরের বিরোধী শিবিরের এই চার জয়ী প্রার্থী। তাঁদের সাদা কাগজে সই করানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ। ভয় দেখিয়ে বয়ান রেকর্ডও করানো হয়েছিল।

রবিবার সকালে কৃষ্ণচন্দ্রপুরের অন্ধমুনিতলা গ্রামে বিজেপি প্রার্থী পুজা ছাঁটুইয়ের বাড়িতে বসেছিলেন বাকি তিন জয়ী প্রার্থীও। সেখানে তৃণমূলের দিকেই আঙুল তোলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২৭ তারিখ রাতে কলকাতার এক গেস্ট হাউসে খাওয়া-দাওয়া করছিলেন তাঁরা। সেই সময় তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতী গাড়ি নিয়ে চলে আসে। প্রথমে বুঝতে পারেননি কী হচ্ছে। আচমকা তাঁদের অস্ত্র-শস্ত্র দেখিয়ে তাঁদের ওখান থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। জোর করে গাড়িতে তুলে মিনিট দশেকের দূরত্বে কোথাও নিয়ে যায়। সেখানে তৃণমূলের প্রধান বাপি হালদার ছিলেন বলে জানান তাঁরা। সেখান থেকে নদী পার করিয়ে একটা ফ্ল্যাটে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তাঁরা। 

কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫ আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৪ আসন। বিজেপির খাতায় ৬ আসন। সিপিএমের খাতায় ৩, সিপিএম সমর্থিত নির্দলদের খাতায় ২। অভিযোগ, ভোট গণনার পরেই শাসকদলের নেতারা হুমকি দিতে শুরু করে বিরোধী শিবিরের ১১ জয়ী প্রার্থী। সকলেই ভয়ে এলাকা ছাড়েন। বোর্ড গঠনের কথা শুরু হতেই তাঁরা ঘরে ফেরার তোড়জোড় করছিলেন বলে শোনা যায়। এরই মধ্যে বিরোধী শিহিরের চার প্রার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement