BLO র আত্মহত্যাSIR-এর চাপে ফের এক BLO-এর আত্মহত্যার অভিযোগ। ঘটনা নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলার। মৃতের নাম রিঙ্কু তরফদার। বয়স ৫১।
আত্মহত্যার আগে তিনি একটা সুইসাইড নোটও রেখে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে তিনি লিখে গিয়েছেন, 'BLO-এর কাজের জন্য প্রশাসনিক চাপ আসতে পারে। সেটা নেওয়া সম্ভব নয়।' পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করছেন তিনি।
চাপড়া থানার অন্তর্গত বাঙালঝি এলাকায় ২০২ নম্বর বুথের BLO হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন রিঙ্কু।
পরিবারের দাবি, রিঙ্কু নিজের সুইসাইড নোটে BLO-এর কাজের অত্যধিক চাপের কথা উল্লেখ করেছেন। পাশাপাশি তিনি মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দায়ী করেছেন বলে জানা গেছে।
পরিবারের দাবি, রিুঙ্কু একজন পার্শ্বশিক্ষক (প্যারা-শিক্ষক)। তিনি বাঙলাঝি এলাকার বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পার্শ্বশিক্ষক ছিলেন। কিন্তু তারপরও তাঁকে BLO-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোনও ছাড় দেওয়া হয়নি। তার ফলে তিনি চাপ সামলাতে না পেরে নিজের জীবন নিতে বাধ্য করা হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে পরিবারের তরফে।
বাড়িতে মেলে ঝুলন্ত খবর
সূত্রের খবর, বাড়িতে ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায় তার। পাশে মেলে সুইসাইড নোট। সেই চিঠিতে তিনি পরিবারের উদ্দেশে লেখেন, 'বাবার খেয়াল রাখিস। আমার কিছুই করার নেই। আমার সংসার ছেড়ে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। নিজে হাতে করে এই সংসার পাতা। বিএলও কাজ তুলতে না পারলে প্রশাসনিক চাপ আসলে তা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়।'
তাঁর এই মৃত্যুর সঙ্গে পরিবারের কেউ দায়ী নয় বলেও জানিয়েছে রিঙ্কু। তিনি লিখে গিয়েছেন, 'মৃত্যুর জন্য স্বামী, ছেলে, মেয়ে কেউ দায়ী নয়। ওরা যথেষ্ট যত্নেই রাখে। আমি বাঁচতে চাই। আমার সংসারে কোনও অভাব নেই।'
মৃত্যুর জন্য দায়ী কমিশন
নিজের আত্মহত্যার জন্য কমিশনকে দায়ী করেছেন রিঙ্কু। যতদূর খবর, তিনি নিজের সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন., আমার এই পরিণতির জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন। আমি কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। খুবই সাধারণ মানুষ। কিন্তু অমানুষিক চাপ আর নিতে পারছি না। আমি একজন পার্শ্বশিক্ষক...'
এই ঘটনা সামনে আসার পরই এলাকায় শোকের ছায়া। পরিবারও ঘটনা আকস্মিকতায় সন্দিহান। তারাও একযোগে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করছে এই ঘটনার জন্য।
জলপাইগুড়িতেও এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগ
ঘটনাচক্রে এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। সেখানেও এক মহিলা BLO কাজের চাপে আত্মহত্যা করেন বলে খবর। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরোধীতা করে। শুধু তাই নয়, এই প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবিতে র কমিশনকে চিঠি দেন।