Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির রাউস অ্য়াভিনিউ আদালত জামিন দেয় অনুব্রত মণ্ডলকে। আগামী সোমবার তিহাড় জেল থেকে তিনি ছাড়া পাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার জামিন পেলেও আইনি প্রক্রিয়ার কারণে তিনি এখনও জেল থেকে বের হতে পারেননি। জানা যাচ্ছে, এক নতুন অনুব্রত দেখতে পাবেন বীরভূমবাসী। কারণ ওজন ঝরিয়ে বেশ ফিট হয়েছেন তিনি। জেলে যাওয়ার আগে তিনি বেশ হেভিওয়েট ছিলেন। এছাড়াও আরও কিছু শারীরিক সমস্যা তাঁর ছিল। সূত্রের খবর, প্রায় ২ বছর তিহাড় জেলে কাটিয়ে ৩০ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন।
তবে শুধু ওজন কম হয়নি। তাঁর আইনজীবীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্টেট-সম্পর্কিত সমস্যা সহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যারও উন্নতি করেছেন কেষ্ট মণ্ডল। এই পরিবর্তন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকার ফলে নয়, জেল জীবনের সুশৃঙ্খল রুটিন এবং AIIMS ও RML হাসপাতালের চিকিৎসাও এর কারণ।
২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ২০২৩ সালে ওই মামলাতেই তাঁর মেয়ে সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। দুজনকেই তিহাড় জেলে রাখা হয়। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সম্প্রতি সিবিআইয়ের করা মামলাটিতে সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুব্রত জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু ইডির মামলায় তাঁকে জেলে থাকতে হচ্ছিল। শুক্রবার সেই মামলাতেও জামিন পেয়ে গেলেন। দু’বছর আগে বীরভূমের নিচুপট্টি এলাকায় নিজের বাড়ি থেকেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে ছিলেন তিনি। গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি দল। বরং অনুব্রতের ফেরার আশায় দিন গুনছিলেন তাঁর অনুগামীরা। দিল্লি হাইকোর্ট থেকে সুকন্যা জামিন পাওয়ার পর তাঁরা আরও উজ্জীবিত হয়েছিলেন। অবশেষে শুক্রবার হাসি ফুটেছে অনুগামীদের মুখে।
জানা যাচ্ছে, সোমবার বিকেলে তিহাড় জেল থেকে মুক্ত হতে পারেন তিনি। মঙ্গলবার মেয়ে সুকন্যাকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রত বাংলায় ফিরবেন। তারপর সোজা চলে যাবেন বোলপুরের বাড়িতে। সেখানে বাড়ি-ঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরেই তিনি রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হবেন কি না তা জানা যায়নি।