জমিতে সীমানা দেওয়ার কাজ শুরু মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নতুন বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ঘোষণা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ৬ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। প্রসঙ্গত, আগামী ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি। ওইদিন মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন। তবে যেই জমিতে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চান সেই জমি নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। জমির মালিক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ওই জমি তিনি বিক্রি করবেন না।
কী বলছেন জমির মালিক?
জানা গিয়েছে, বেলডাঙার বাসিন্দা তাজিমুদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিলনের জমিতে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করতে চান হুমায়ুন কবীর। পেশায় কৃষক তাজিমুদ্দিনের মোট ৬ বিঘা জমি রয়েছে। তাঁর দাবি, ওই জমি তিনি বিক্রি করবেন না। চান না ওই জমিতে গড়ে উঠুক বাবরি মসজিদ।
জমিতে সীমানা দেওয়ার কাজ শুরু
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বাবরি মসজিদ তৈরি হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিল, তবে সেই জায়গা ইতিমধ্যেই ঘিরে দিয়েছেন জমির মালিক নিজামুদ্দিন চৌধুরী। তাঁর দাবি, এই জমি যদি কেউ তাঁর কাছে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি বলে, তাহলে তিনি চিটিংবাজির কথা বলেছেন। তাঁর জায়গা খোলামেলা আছে বলে সবাই ভাবে এই জায়গায় বাবরি মসজিদ হবে। তিনি এও বলেছেন, বাবরি মসজিদ তৈরি করার থেকে আগে মুসলমানদের খোঁজ নিক, আগে পাড়ায় যেসব মসজিদ আছে সেগুলোর উন্নয়ন করুক।
জমি বিক্রি হয়নি
নিজামুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য, 'বাবরি মসজিদ একটা বিতর্কিত ইস্যু। সেই আবেগ নিয়ে কেন খেলতে চাইছেন? এটা ছ বিঘা জায়গা। এই জায়গার মালিক আমি। কাউকে জায়গা বিক্রি করিনি। আর বাবরি মসজিদ কোথায় হবে সেটা যিনি বানাবেন তাঁকেই জিজ্ঞাসা করুন।' বুধবার সকাল থেকে ওই জমিতে সীমানা দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তিনি। কাউকে ওই জমিতে ঢুকতে দেবেন না বলে জানান নিজামুদ্দিন চৌধুরী।
এদিকে , হুমায়ুন বলেছিলেন, ছ’বিঘা জমি বাবরি মসজিদের জন্য তিনি কিনে নিয়েছেন। তবে জমির মালিক বলছেন, 'একদিন উনি যাচ্ছিলেন। সেই সময় এখানে বসেছিলেন। আর লোক ভাবছে, এখানে বসেছেন মানে এই জায়গা কিনে নিয়েছেন। এতেই মানুষ ভাবছে এখানেই হবে। আমি মসজিদ হওয়ার বিপক্ষে। সাধারণ মানুষ যাতে করে খাক সেই রকম কিছু করুক। আমরাও সাহায্য করব। কেন এই বিতর্কিত ইস্যুতে টানাহেঁচড়া?' তবে তা সত্ত্বেও ওই জমিতে বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের এলাহি আয়োজন শুরু হয়েছে। জমির মালিকের সঙ্গে কথা না বলে কীভাবে সেখানে একজন জনপ্রতিনিধি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।