Bankura Child Murder: স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও গর্ভবতী গৃহবধূ, বাকুঁড়ায় সেই কারণেই খুন শিশু কন্যাকে?

বুধবার রাতে বাঁকুড়া সদর থানার বগা গ্রামে তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে শুয়েছিলেন পেশায় জনমজুর প্রশান্ত বাউরি ও তাঁর স্ত্রী মণি বাউরি। বৃহস্পতিবার সকালে বাকি দুই সন্তান ঘুমিয়ে থাকলেও খোঁজ মেলেনি দেড় বছরের শিশু কন্যার।

Advertisement
স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও গর্ভবতী গৃহবধূ, বাকুঁড়ায় সেই কারণেই খুন শিশু কন্যাকে?স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে থা থাকলেও গর্ভবতী গৃহবধূ, বাকুঁড়ায় সেই কারণেই খুন শিশু কন্যাকে?
হাইলাইটস
  • স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই সন্দেহ ছিল প্রশান্ত বাউরির
  • তা নিয়ে মাঝে মাঝে অশান্তিও হতো

বাঁকুড়ার শিশু খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের জেরে ওই সন্তান জন্ম নিয়েছিল বলে ওই যুবকের মনে সন্দেহ ছিল, তাই দেড় বছরের কন্যা সন্তানকে খুন করে ঝোপে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। ঘুমের মধ্যেই শিশুটিকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন স্বামী। তাঁকে বাঁচাতে মিথ্যা বলেন স্ত্রী। সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বাঁকুড়ার ওই দম্পত্তি। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঝোঁপে পড়ে থাকা শিশুটির হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার রাতে বাঁকুড়া সদর থানার বগা গ্রামে তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে শুয়েছিলেন পেশায় জনমজুর প্রশান্ত বাউরি ও তাঁর স্ত্রী মণি বাউরি। বৃহস্পতিবার সকালে বাকি দুই সন্তান ঘুমিয়ে থাকলেও খোঁজ মেলেনি দেড় বছরের শিশু কন্যার। বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হতেই খবর যায় পুলিশ। গ্রামে পৌঁছে পুলিশ তদন্তে নামে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় আড়াই দিন ধরে চলে চিরুনি তল্লাশি। সঙ্গে চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদও। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শিশুর মা-বাবাকে। তাঁদের বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি দেখা যাওয়ায় বাড়তে থাকে পুলিশের সন্দেহ।

শনিবার পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়েন দম্পতি। তাঁরা সন্তানকে খুনের কথা স্বীকার করেন। তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে একটি ঝোপ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল সেগুলি নিখোঁজ শিশুরই। পাঠানো হয় ফরেন্সিক টেস্টের জন্য। প্রাথমিক তদদন্তে পুলিশের অনুমান, শিয়াল-কুকুরে শিশুটির দেহাংশ খুবলে খেয়ে ফেলেছে।

কী কারণে খুন?

পুলিশ জানতে পেরেছে স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই সন্দেহ ছিল প্রশান্ত বাউরির। তা নিয়ে মাঝে মাঝে অশান্তিও হতো। প্রশান্ত দাবি করেছেন, চার বছর ধরে স্ত্রীর সঙ্গে নাকি তাঁর কোনও শারীরিক সম্পর্কও ছিল না। যদিও বছর আড়াই আগে মণির গর্ভে সন্তান আসে। তাতেই বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়ে প্রশান্তর। পরবর্তীতে সন্তান প্রসব হলে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। কিছুদিন আগে চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, ওই মেয়ে কোনও দিন হাঁটাচলা করতে পারবে না। বিশেষভাবে সক্ষম মেয়েকে নিয়ে দম্পতির মধ্যে আশান্তি আরও বাড়ে। তারপরই তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বুধবার রাতে দেড় বছরের কন্যা শিশুর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন প্রশান্ত। সঙ্গ দেন স্ত্রী। ভোরের দিকে শিশুটির দেহ বাড়ি থেকে প্রায় ৭০০ মিটার দূরে পুকুর পাড়ে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসেন তাঁরা। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement