Bardhaman News: 'BJP নেতাদের চা খাইয়ে লিখিয়ে নিন...', SIR নিয়ে নিদান তৃণমূল বিধায়কের

পশ্চিমবঙ্গে (SIR) হবে, সঠিক সময়ে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আর এই আবহেই বিজেপি ভোট চাইতে আসলে কী করতে হবে, তার নিদান দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক খোকন দাস। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক বললেন, এবার বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিরা যদি বাড়িতে আসে ভোট চাইতে, তাদেরকে বসিয়ে চা খাওয়ান আর লিখিয়ে নিন যে ২০০০ সালের পরে যে উদ্বাস্তুরা এসেছে তাদের কারুর নাম ভোটার লিস্টে বাদ হবে না

Advertisement
 'BJP নেতাদের চা খাইয়ে  লিখিয়ে নিন...', SIR নিয়ে নিদান তৃণমূল বিধায়কেরবিধায়ক খোকন দাস

পশ্চিমবঙ্গে (SIR) হবে, সঠিক সময়ে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন  মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আর এই আবহেই বিজেপি ভোট চাইতে আসলে কী করতে হবে, তার নিদান দিলেন তৃণমূলের বিধায়ক খোকন দাস। বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক  বললেন, এবার বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিরা যদি বাড়িতে আসে ভোট চাইতে, তাদেরকে বসিয়ে চা খাওয়ান আর  লিখিয়ে নিন যে  ২০০০ সালের পরে যে উদ্বাস্তুরা এসেছে তাদের কারুর নাম ভোটার লিস্টে  বাদ হবে না

বিজেপি বিধায়কের স্পষ্ট বক্তব্য, কতো জন মারা গিয়েছে SIR আতঙ্কে , জানা নেই। তাই এবার বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিরা যদি বাড়িতে আসে ভোট চাইতে তাদেরকে বসিয়ে চা খাওয়ান আর,  লিখিয়ে নিন যে  ২০০০ সালের পরে যে উদ্বাস্তুরা এসেছে তাদের কারও নাম ভোটার লিস্টে  বাদ যাবে না, তারপর বিজেপির গল্প শুনব। শহর বর্ধমানের সংস্কৃতি লোক মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেস নমঃসূদ্র ও উদ্বাস্তু সেল-এর ডাকে পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক। 

খোকন দাস বলেন, বাংলায় দুটো সম্প্রদায়ের বেশি সংখ্যক মানুষ তাদের ভোট দেয়। একজন হচ্ছে অবাঙালিরা, আর বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুরা। বাংলাদেশের অত্যাচারিত হয়ে এবার বাংলায় এসে তারা ভাবে,  বিজেপি আমাদের রক্ষা করবে। তাই ভোটের সময় পদ্মফুলে গিয়েই ভোটটা দেয়। অথচ তারা জানে না বিজেপি উদ্বাস্তু দের জন্য কি ক্ষতিকারক ভূমিকা নিয়েছে। এই উদ্বাস্তুদের যাতে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেয়া যায় পুনরায় তার ব্যবস্থা নরেন্দ্র মোদী করছেন। মানুষকে টেনশনে ফেলে দিয়েছে। এখন যারা ভোট দেন আপনাদের ভাবতে হবে। ভোটের সময় কোন এজেন্ট নেই কিছুই নেই, অথচ ভোট গণনার পর দেখি একসঙ্গে সব পদ্মফুলে ভোট দিয়ে দিয়েছে। এই জিনিস আপনারা করবেন না।  বারবার বিজেপি মিথ্যা কথা বলে। বারবার বিজেপি প্রতিশ্রুতি দেয়। বারবার মানুষ তাদের ভোট দেয় আর এই জন্যই বিজেপি বাংলাকে শেষ করে দিতে চাইছে। তাই এবার বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিরা যদি বাড়িতে আসে ভোট চাইতে তাদেরকে বসিয়ে চা খাওয়ান আর  লিখিয়ে নিন যে  ২০০০ সালের পরে যারা উদ্বাস্তুরা এসেছে তাদের কারুর নাম ভোটার লিস্টে  বাদ হবে না।

Advertisement

সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস নমঃসুদ্র ও উদ্বাস্তু সেলের সভাপতি এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উদ্বাস্তু, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন দফতরের চেয়ারম্যান রঞ্জিতকুমার সরকার, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস আদিবাসী সেলের চেয়ারম্যান   এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু টুডু, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী নীলা মুন্সি-সহ তৃণমূলের নেতৃত্ব ।  এ বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র ডঃ শান্তরূপ দে জানান, তৃণমূল কংগ্রেস বুঝে গিয়েছে তাদের ভোট ব্যাঙ্ক মানেই রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারী, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। তাই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিকে একমাত্রায় ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের এই চেষ্টা সফল হবে না।

রিপোর্টারঃ সুজাতা মেহেরা

POST A COMMENT
Advertisement