সাত সকালে সল্টলেকে তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের চেষ্টা। বিধাননগর পৌর নিগমের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ও বর্তমানে বিধাননগর আইএনটিটিইউসির সভাপতি নির্মল দত্তের ওপর হামলার চেষ্টা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ নিজের ওয়ার্ড অফিসে পৌঁছে তালা খুলতে গিয়েই প্রাণঘাতী হামলার মুখে পড়েন তিনি। অভিযোগ, মুখে মাস্ক পড়া এক দুষ্কৃতী পিছন দিক থেকে এসে হঠাৎই গুলি চালানোর চেষ্টা করে তাঁকে। বন্দুক থেকে গুলি বের না হওয়ায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর নির্মল দত্ত।
এ দিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি দত্তাবাদের ওয়ার্ড অফিসে এসেছিলেন কাজের তদারকি করতে। সেই সময়ে একজন গেঞ্জি পরিহিত যুবক আসে এবং তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরপর দুটি গুলি ছোড়ে, কিন্তু দুটি গুলিই লক্ষ্য়ভ্রষ্ট হয়। এরপর প্রাক্তন কাউন্সিলর নির্মল দত্ত ওই দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরেন। ধস্তাধস্তি হয় তাদের মধ্যে। এরপর দুষ্কৃতী বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে এবং মাথা ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। চিৎকার শুনে আশপাশের স্থানীয়রা ছুটে আসতেই দুষ্কৃতী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের তৎপরতায় দ্রুতই বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নির্মল দত্তকে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তিনি আপাতত স্থিতিশীল। তবে মাথায় চোট লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
ঘটনার খবর পেয়ে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। এলাকা জুড়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে অভিযুক্তের গতিবিধি ও পরিচয় শনাক্তের জন্য। কেন এই হামলা, রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত কারণে— তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দিনদুপুরে এমন হামলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিধাননগর জুড়ে। স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় বাড়ানো হোক নিরাপত্তা। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন। জানা যাচ্ছে, ৮-৯ মাস আগেও তৃণমূলের ওই প্রাক্তন কাউন্সিলরের উপর এমন হামলা হয়েছিল।