বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব বাড়ছে। এই আবহে কলকাতা দখলের হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনাকর্মীরা। ৪ দিনের মধ্যেই তাঁরা কলকাতা দখল করে নিতে পারেন, এমনই দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা এবং আগরতলার পাশাপাশি সেভেন সিস্টার্স দখল করার হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশ তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধান। আর বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং।
চারদিনের মধ্যে কলকাতা দখল করে নেব। ইস্টার্ন কমান্ড, অসম দখল করে নেব। বাংলাদেশের রাজপথে ভারত বিরোধী মিছিল থেকে এমনই দাবি করেছিল প্রাক্তন বাংলাদেশী সেনারা। রক্তগরম করা সেই মন্তব্য ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। একইসঙ্গে ওঠে হাসির রোলও। যে দেশের আয়তন ভারতের একটা রাজ্যের মতো, সেই দেশ কিনা কলকাতা দখল করে নেবে? এবার এই প্রসঙ্গে কড়া জবাব দিলেন অর্জুন সিং।
আত্মরক্ষার জন্য রাজ্যের মানুষকে ঘরে ঘরে ধারাল অস্ত্র রাখার নিদান দিয়েছেন তিনি। আসলে বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনানীদের এই মন্তব্যকে মোটেও হালকাভাবে নিতে চাননা এই নেতা। তার ব্যাখ্যা, যেভাবে জেহাদিদের সংখ্যা বাড়ছে শাসক দলের উস্কানিতে তাতে যেকোন সময় বাংলাদেশ এই রাজ্যকে দখল করে নিতেই পারে। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় ৯ টি জেলায় জিহাদিদের দখলে। কেন্দ্রীয় সরকার দেশের রক্ষার জন্য সীমান্ত লাগোয়া ৫০ কিলোমিটার BSF-এর অধীনে থাকার আইন পাস হলেও তা এখনও কার্যকর হল না। অর্জুন সিং সরাসরি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের দিকে নজর দিন।
অর্জুন সিং বলেন, 'আমি ট্যুইটে এটাই লিখেছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহজিকে যে এটায় বিশেষ নজর দিন। এটা হাসিতে উড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। প্রত্যেকটা হিন্দুকে নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য ধারাল অস্ত্র রাখতে হবে বাড়িতে। নইলে বাঁচার রাস্তা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ জিহাদিদেরই সমর্থন করবে।বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনারা বলছে চারদিনের মধ্যে কলকাতা নিয়ে নেবে। এটা হাসিতে উড়িয়ে দেওয়ার বিষয় নয়। পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কী আছে? মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাদেরকে ডিমরালাইজড করেন। অথচ বিএসএফকে ৫০ কিলোমিটার অবধি সবরকমভাবে ইনভলভ করার জন্য আইন পাশ হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে ৯টি জেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। এই সব জেলার সীমান্ত এলাকায় ডেমোগ্রাফি বদলে গিয়েছে। জিহাদিদের আন্ডারে কলকাতা চলে গিয়েছে।'
সংবাদদাতাঃ দীপক দেবনাথ